যুবলীগ নেতার হামলায় প্রধান শিক্ষকসহ আহত ৭
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার রসুলপুর আবদাল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন স্কুল ভবনের পাশের একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রদের পিটিয়ে আহত করেছেন যুবলীগ নেতা। বুধবার দুপুরে রসুলপুর আবদাল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রসুলপুর আবদাল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের পাশে আমিনা বেওয়া নামে এক বিধবার একটি ইউক্লিপটাস গাছ স্কুল কর্তৃপক্ষ কেটে ফেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও আমিনা বেওয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাউরা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সুশীল কুমার সেন (গাটু) (৪০) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে।
এ খবর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা সুশীল কুমার সেন গাটুর বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে স্কুলের অদূরে সফিরহাট বাজারে আসে। এ সময় প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে সফিরহাট বাজারে গেলে সেখানে সুশীল কুমার সেন গাটুসহ বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রদের মারধর করে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রধান শিক্ষক দুলাল হোসেন ( ৫০), স্কুলছাত্র মামুন সপ্তম শ্রেণি, পুলক দশম শ্রেণি, সোহেল দশম শ্রেণি, আতিকুর নবম শ্রেণি, হাফিজুর নবম শ্রেণি, মিলন নবম শ্রেণি, রিয়াদ ষষ্ঠ শ্রেণি। তাদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিক শামসুল হক জানান, নির্মাণাধীন স্কুল ভবনের উপরে পড়া একটি গাছের ডাল ছাত্ররা কাটতে গেলে ওই নেতা অতর্কিতভাবে প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর চড়াও হয় এবং মারপিট করে। এ সময় সহকারী শিক্ষিকা পারুল আক্তার, মুন্নি বেগম ও হাবিবা বেগমকে লাঞ্চিত করেন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দুলাল জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনাটি পাটগ্রাম থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার লাম মুহাম্মদ জানান, আহত শিক্ষক ও ছাত্ররা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিউল হাসান/এসএস/আরআইপি