রক্তদানে উদ্বুব্ধ করছে ‘ব্লাড ফর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’
একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে জীবন ও জগতের উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও রক্তের কোন বিকল্প আবিষ্কার হয়নি। রক্তের বিকল্প শুধু রক্ত যা টাকার পরিমাপে মূল্যায়ন অসম্ভব। প্রতিনিয়ত রক্তের অভাবে ঝরে যায় হাজারো প্রাণ।
কিন্তু সামাজিকভাবে বাংলাদেশের সমাজে স্বেচ্ছায় রক্তদানের সংখ্যা নিতান্তই কম। এর কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা রক্তদান সম্পর্কে সচেতন নই, রক্তদানের কথা শুনলে আমরা ভয় পাই। কিন্তু আমরা যদি রক্তদান সম্পর্কে জানতে পারি, নিজেকে সচেতন করতে পারি তাহলে রক্তদান সম্পর্কে ভয়টাকেও আমরা জয় করতে পারি।
কারণ ১৮-৫৭ বছরের সকল নারী ও পুরুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে ছেলেরা তিন মাস এবং মেয়েরা চার মাস পর পর এক ব্যাগ রক্ত দান করতে পারে। এক্ষেত্রে ছেলেদের ওজন হতে হয় ৫০ কেজি আর মেয়েদের ৪৫।
রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধি এবং রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবকাশে ‘তুচ্ছ নয় রক্তদান, বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করে ‘ব্লাড ফর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামের একটি সংগঠন।
এই সর্ম্পকে ‘ব্লাড ফর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সদস্য ইফতি মাহমুদ হিমেল জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পেয়েই সংগঠনটি এগিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণীর। তারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে থাকে। শুধু রক্ত ব্যবস্থা করাই সংগঠনটির উদ্দেশ্য নয়, তাদের স্বপ্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি পরিবার হবে এক একটি ব্লাড ব্যাংক। তাই তারা রক্ত নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মশালা করে থাকে।
তিনি আরও জানায়, আগামীতে অনেক পরিকল্পনা আছে এই সংগঠনটিকে নিয়ে। এলাকার মানুষদের সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্নভাবে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে কিছু তরুণ তারা হলেন, পলাশ চৌধুরী, ইসরাত জাহান, সাগর, তামিম, রনি, মেহেদী হাসান উজ্জল, মিশুক মাহমুদ, জয়নাল, রীপা, তানজিনা, অভিজিৎ রায়, ফয়সাল, পন্কজ সহ আরো অনেকে। বর্তমানে তারা অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের ফেসবুক পেইজ: m.facebook.com/blood4bbaria । বিজ্ঞপ্তি।
এআরএস/এবিএস