জাতীয় নির্বাচনে শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে চায় মনিটরিং ফোরাম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে চায় ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ)। এক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়া, নিরাপত্তাসহ সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছে তারা।
সোমবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা এ সহায়তা চান।
এসময় তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অবাধ পর্যবেক্ষণ, ভিসা জটিলতা, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বাংলাদেশের অবস্থানরত কূটনৈতিকদের আচরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। শুধু নির্বাচনের দিন নয় নির্বাচনের পূর্বপরিস্থিতি, নির্বাচনের পরের দিনও আমরা পর্যবেক্ষণ করি। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমরা সর্বাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক আশা করছি। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের ভিসা জটিলতা নিরসন, পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং আমাদের বিদেশি মিশনগুলোর সহযোগিতা আমাদের দরকার বলে মনে হয়েছে।
এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করেছি। ইইউসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ করে যেসব দেশে গণতন্ত্র আছে, মানুষের ভোটের অধিকার আছে সেসব দেশ থেকে পর্যবেক্ষক নিয়ে আসতে চাচ্ছি। আমরা শতাধিক পর্যবেক্ষক আশা করছি, এটি বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা সিভিল সোসাইটি থেকে পর্যবেক্ষক আনবো। ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে আমাদের মতো এমন সংস্থা আরও অনেক আছে। ইএমএফ একক নয়, এটি ৫০টি সংগঠনের মোর্চা। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি চলছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে কানাডা, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক নিয়ে এসেছি। যত বেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদকর্মী আসবেন নির্বাচন ততবেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
এসময় ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এমআইএইচএস/এমএস