‘প্লাস্টিক বর্জ্য মানবজীবনে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’

প্লাস্টিক ছাড়া দৈনন্দিন জীবন চলা কঠিন। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে ৩ থেকে ৪ টন বর্জ্য রিসাইক্লিং করা সম্ভব হচ্ছে। বাকিগুলো বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, দূষিত বায়ু জীববৈচিত্র্যের উপর বীরূপ প্রভাব ফেলছে। মাটি এবং জলাধারগুলোতে জমে থাকা বিষাক্ত প্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করছে। বিভিন্ন স্তরের জীবের খাদ্যচক্রে মিশে যাচ্ছে। সে কারণে অতিতাপমাত্রা, খরা, অধিক শীত ও অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
রোববার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ঢাকায় বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও বারসিকের যৌথ আয়োজনে ‘প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণের পরিবেশগত এবং আইনগত প্রেক্ষাপট’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, প্লাস্টিক আমাদের দেশের সুন্দর পরিবেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিচ্ছে। প্লাস্টিক একাধারে মাটি, পানি ও সমুদ্র দূষিত করছে। প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বাতাসও দূষিত হচ্ছে, তাই এখন আর আমরা বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য নির্মল বাতাস পাই না। শুধু সরকার একা কাজ করে এই দূষণ কমাতে পারবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, প্লাস্টিক আমাদের নিত্যদিনের অতি প্রয়োজনীয় সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাইলেই খুব সহজে এর ব্যবহার বন্ধ করে দিতে পারবো না। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের পূর্বে এর বিকল্প উদ্ভাবন করতে হবে এবং সবাইকে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, বিএনসিএ’র মহাসচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ারের (সিএলপিএ) সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন প্রমুখ বৈঠকে বক্তব্য দেন।
এমএইচএম/এমএইচআর/জিকেএস