চট্টগ্রাম ও খুলনায় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
‘দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। পাশাপাশি মেধাভিত্তিক কার্যক্রমের চর্চা যত বেশি করা যায় ততই ভালো। এতে করে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পথ তৈরির সুযোগ হয় এবং এতে করে দেশ এগিয়ে যেতে পারে।’
শুক্রবার চট্টগ্রাম এবং খুলনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজনে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি নিয়মিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক এ ধরনের আয়োজনের উপর জোর দিয়ে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মেধাবীদের সংখ্যা বাড়াতে স্কুল পর্যায় থেকে এ ধরনের আয়োজন জরুরি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের নিজেদের বেশি বেশি এ ধরনের কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক, আইসিটি বিভাগের সার্টিফায়িং অথরিটি বিভাগের নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মো. শারফুদ্দিন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ ও রবির মার্কেট অপারেশন বিভাগের এরিয়া ম্যানেজার (কনজিউমার সেলস অ্যান্ড সার্ভিস) এস এম জাহিদুল ইসলাম।
সকালে উদ্বোধন শেষে উৎসবে কুইজ এবং প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ১২০০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে শুরু হয় কুইজ ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রোগ্রামিং বিষয়ে চলে প্রশ্নোত্তর ও আলোচনা পর্ব।
একই দিনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এ সময়ে তিনি প্রোগ্রামিংয়ে শিক্ষার্থীদের আরো বেশি মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শেখ সাদীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
প্রতিযোগিতা সকাল ৮টায় শুরু হয়ে প্রতিযোগিতা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দুই ক্যাটাগরিতে ২০ জন এবং কুইজে তিন ক্যাটাগরিতে ৬০ জন বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। আঞ্চলিক পর্বের পাশাপাশি সারাদেশে প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে চলছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম। সারাদেশে মোট এক হাজার হাইস্কুলে চলবে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০টি স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাক্টিভিশন।
এআরএস/আরআইপি