আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের সাইট অফিসে মশার লার্ভা, ২ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মালিকানাধীন গ্রিন মডেল টাউনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন।

ডিএসসিসি জানায় গ্রিন মডেল টাউনের পুরাতন সাইট অফিসের ড্রাম, বালতি, রান্নার তৈজসপত্র ও টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ফলে সাইট ইনচার্জ বদরুদ্দোজা খানকে জরিমানা করা হয়।

এর আগে ২৪ জুলাই ডিএসসিসির আওতাধীন ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্প এলাকার নর্দমা ও চৌবাচ্চায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সাইট ইনচার্জ জামিলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান।

এছাড়া মঙ্গলবার আরও আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত করপোরেশন আওতাধীন ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল, ভূতের গলি, উত্তর মুগদা, পূর্ব রসুলপুর, কামরাঙ্গীরচর, আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড, বাংলাদেশ মাঠ, পশ্চিম জুরাইন, শ্যামপুর, মীরহাজিরবাগ রোড, যাত্রাবাড়ী, পশ্চিম নন্দীপাড়া, বড় বটতলা, গ্রিন মডেল টাউন ও প্রিভেইল স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল ও ভুতের গলি এলাকায় ২১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এসময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

অপরদিকে দুই নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মুগদা এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসুলপুর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এসময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

চার নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড ও বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় ৮৮টি স্থাপনা এবং বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজিরবাগ রোড ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। দুই আদালত এসময় তিন স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া ও বড় বটতলা এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এসময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

১০ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিভেইল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ৮১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এমএমএ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।