গাজীপুরে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জালাল মারা গেছেন

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১২ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়/ ছবি- জাগো নিউজ

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে করা বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পোশাকশ্রমিক মো. জালাল উদ্দিন (৪০) মারা গেছেন। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জালাল।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুলিশ-পোশাক শ্রমিক সংঘর্ষ, নারী নিহত

গত ৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হন ইসলামিয়া গার্মেন্টসের সুপারভাইজার জালাল উদ্দিন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মো. চাঁন মিয়ার সন্তান জালাল কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করতেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।

নিহতের সহকর্মী সফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় ইসলাম গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ওই ঘটনায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনকে গুরতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থান প্রথমে আঞ্জুয়ারা খাতুন মারা যান। একই ঘটনায় আহত জালাল উদ্দিন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আরও পড়ুন: বেতন বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

এদিকে, সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আজও মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। তবে এরই মধ্যে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা।

রোববার সকাল সোয়া ৮টা থেকে মিরপুর ১৩ নম্বরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ শ্রমিক। এতে মিরপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান।

কাজী আল-আমিন/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।