পোষা পাখি ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের, দগ্ধ আরও ২

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পোষা পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাশফিয়ান আতিফ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। তিনি রবিনহুড নামে একটি পোষা পাখি উদ্ধারকারী দলের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় দলের আরও দুই সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। তাদের একজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেকে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতিফ মারা যান।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

মৃত আতিফ পুরান ঢাকার লালবাগের চান্দিঘাট এলাকার নাজমুল ইসলামের সন্তান। তিনি আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি শখ হিসেবে পোষা পাখি উদ্ধারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বলে জানান তার স্বজনরা।

রবিনহুড খ্যাত উদ্ধারকারী দলের প্রধান রবিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ পেয়ে হাসনাবাদ এলাকায় বিদ্যুতের তারে বসে থাকা একটি পোষা পাখি উদ্ধার করতে গেলে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে গেলে আতিফকে রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে দগ্ধ একজন শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন আছেন। রূপক নামের অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্নে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের একজন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃতব্যক্তির শরীরের ৯৯ শতাংশ দগ্ধ ছিল বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

কাজী আল-আমিন/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।