চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ‘বাইডেন-জয়ার’ ঘরে তিন শাবকের জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চট্টগ্রামে চিড়িয়াখানায় ২০২০ সালে জন্ম নেয় বাঘ শাবক জো বাইডেন। জন্মের পরপরই মা-পরিত্যক্ত বাইডেনকে লালন-পালন করেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা। সেই বাঘ জো বাইডেন আর বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নিয়েছে তিনটি শাবক।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শাবক তিনটি জন্মগ্রহণ করে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ড. শাহাদাত হোসেন শুভ।

২০১৬ সালে দক্ষিণ অফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একজোড়া বাঘ আনে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বাঘের নাম দেওয়া হয় রাজ আর বাঘিনীর নাম পরী।

সেই রাজ-পরীর সংসারে ১৫ টি শাবকের জন্ম হওয়ায় চিড়িয়াখানায় এখন বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে, যার বাণিজ্যিক মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কিউরেটর ড. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর। বাঘ জো বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা হতে পরিত্যক্ত হয়। এরপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালনপালন করা হয়।’

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ‘বাইডেন-জয়ার’ ঘরে তিন শাবকের জন্ম

‘এক বছর লালন-পালনের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাচায় অবস্থিত অন্যান্য বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোস্যালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসেবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো সে নিজের পরিবার তৈরি করলো। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রিকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা।’ বলেন ড. শাহাদাত হোসেন শুভ।

১৯৮৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি বন্দর নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এখন ১০ একর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

চিড়িয়াখানাটিতে সাদা বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, কুমির, বিভিন্ন ধরনের হরিণ ও বানর, শিম্পাঞ্জি, প্যাঁচা, সজারু, শেয়াল, জেব্রা, ময়ূর, উটপাখি, শকুন, টার্কি, বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর, অজগর সাপ, ইমুহ ৬৫ প্রজাতির ৬২০টি প্রাণী রয়েছে।

এ চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার দর্শনার্থী প্রাণী দেখতে আসেন। টিকিট বিক্রি থেকে চিড়িয়াখানাটি বছরে ৫০ কোটি টাকা আয় করে।

এএজেড/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।