১৭ দিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই রাজধানীতে


প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬

প্রিয়তমার দেখা পেতে প্রেমিক যেমন অধীর আগ্রহে ব্যকুল হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণে ঠিক তেমনি তীব্র দাবদাহ থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুণছেন নগরবাসীও। তবে দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কাঙ্খিত সেই বৃষ্টির দেখা পায়নি নগরবাসী। তিন দিন আগে আসি আসি করেও শুধু খানিকটা বৃষ্টির ঝাপটা দিলেও ঝরেনি বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছে সর্বশেষ ঢাকায় কবে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল জানতে চাইলে তারা রেকর্ডবুক দেখে জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গত ৪ এপ্রিল ঢাকা শহরে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর আর পরিমাপ করার মতো বৃষ্টি হয়নি।

তারা জানান, ১৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা, শেরেবাংলা নগরসহ কয়েকটি স্থানে খানিকটা বৃষ্টির ফোঁটা পড়েছে বটে তবে আবহাওয়াবিদদের ভাষায় ওই পরিমাণ বৃষ্টি পরিমাপ করা যায় না।
 
বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, বৃষ্টির জন্য আরও তিন দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে রাজধানীতে যে কোনো সময় বৃষ্টি হলেও হতে পারে।

এদিকে টানা কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহে নগরবাসীর জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাইরে বের হলেই সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে। তীব্র দাবদাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। রিকশাচালক ও ভ্যানগাড়ি চালকরা এক নাগাড়ে বাহন টানতে পারছেন না।

rain

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষ ছাতা মাথায় বের হয়ে গরম থেকে রক্ষার চেষ্টা চালালেও রক্ষা পাচ্ছেন না। অনেকে রাস্তার পাশের আখ, লেবু ও গুড়ের শরবত ও রাস্তার ফুটপাতের আনারস, বাঙ্গি, তরমুজসহ বিভিন্ন ফলফলাদি কিনে গরমে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

অন্যদিকে, বিত্তবানরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে স্কুল খোলা থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। সবার একটাই প্রশ্ন গরম কমবে কবে? এদিকে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোড শেডিং। দিনের পাশাপাশি রাতেও চলে লোড শেডিং। ফলে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না রাজধানীবাসী।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুসারে গত সাত দিনে রাজধানীর তাপমাত্রা ১৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮, ১৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৪ও সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৯ ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আজ দেশের অন্যান বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে  ৩৩ দশমিক ২ ও সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৬, সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ১ ও সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৮ ও সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বরিশালে সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৮ ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এমইউ/এসকেডি/এআরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।