ফাইল চলুক, গতিশীল হোক প্রশাসন
প্রতিবছর যে হারে শিক্ষিত চাকরি প্রার্থী তৈরি হচ্ছে সে হারে চাকরির ক্ষেত্র ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমন্বয় থাকতে হবে। নইলে এক পাহাড়সম সমস্যা তৈরি হবে। আদতে হয়েছেও তাই। চাকরি প্রার্থীর তুলনায় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে চাকরির সংখ্যা খুবই কম। যা রয়েছে সেগুলোতেও যদি নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখা না হয় এরচেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে একদিকে পাহাড়সম বেকারত্ব বাড়ছে অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে হাজার হাজার শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। এগুলোতে নিয়োগের যেন কোনো তাগিদ নেই। এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় দিনের পর দিন বন্ধ থাকছে শূন্যপদে নিয়োগ।
মূলত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই যথাসময়ে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয় না। দেখা যায় এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে ফাইল চালাচালি করতেই অনেক সময় ব্যয় হয়ে যায়। ফাইল ধরে রাখার মধ্যে নয় ফাইল ছাড়ার মধ্যেই আসলে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কর্মদক্ষতা প্রমাণিত। আমাদের দেশে এর উল্টো। যিনি যত ফাইল ধরে রাখতে পারবেন, তিনি তত বড় কর্মকর্তা। এই ন্যক্কারজনক প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনকে করতে হবে গতিশীল।
যেখানে দিন দিন বেকারত্ব বাড়ছে সেখানে সে অনুযায়ী নিয়োগ না দেয়া রীতিমত অন্যায়। যে কোনো ক্ষেত্রে শূন্যপদের নিয়োগ দ্রুততর করতে হবে। এতে একদিকে কর্মসংস্থান হবে বেকারদের অন্যদিকে শূন্য পদ থাকার কারণে কাজের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটিরও সমাধান হবে। ঠিক থাকবে চাকরির প্রবাহও। এ ব্যাপারে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমনটিই দেখতে চায় মানুষজন।
এইচআর/পিআর