বাঁচতে হলে মানতে হবেই

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ১২ মে ২০২০

এটা খুবই উদ্বগজনক যে মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ২৩৯ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৪ জন। যা দেশে করোনা হানা দেয়ার পর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৯১। এ তথ্য গতকাল সোমবারের। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

আশার কথা হচ্ছে করোনায় কারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, এ থেকে সুরক্ষায় কী ধরনের খাবার খেতে হবে এবং কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে- এসব বিষয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। গত রোববার (১০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এই পরামর্শ দেন তিনি।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে যারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষ শ্রেণির কিছু মানুষ আছে। যেমন- শিশু, মানসিক প্রতিবন্ধী, অন্য প্রতিবন্ধী, সংক্রমণ ব্যাধিতে ভোগেন যারা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার, কিডনি রোগী, ক্রনিক রেসপেরেটোরিতে আক্রান্তরা করোনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তারা যেন একেবারেই জনসমাবেশের দিকে না যায়।’

করোনা থেকে সুরক্ষায় বিশেষ করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি নজর দেবেন। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত এ মহাপরিচালক।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আপনার সুস্থতা আপনার হাতে। আপনি যত বেশি সচেতন থাকবেন, তত বেশি সুস্থ থাকবেন। নিয়মিতভাবে সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুবেন। শারীরিক দূরুত্ব বজায় রেখে চলবেন এবং কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়বেন। সব সময় মাস্ক পরবেন।

কী ধরনের খাবার খেতে হবে?

খাবার গ্রহণের বিষয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘পানি বেশি করে খাবেন। তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার- টাটকা শাকসবজি, ফলমূল, সবুজ শাকসবজি খাবেন। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাবেন। প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস ডিম। আমরা নিয়মিতভাবে ডিম খেতে পারি। যাদের ফ্যাটের সমস্যা আছে, তারা কুসুমটা বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে পারেন। সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এটা পুরোটাই প্রোটিন আসলে। মাছ, মাংস সংগ্রহ না করতে পারলেও আমার মনে হয়, ডিমটা সংগ্রহ করতে পারি সবাই।’

মহামারির এই সময়ে বাঁচতে হলে এই পরামর্শগুলো অবশ্যই মানতে হবে। নিজেরা মানার পাশাপাশি এ ব্যাপারে অন্যদেরও সচেতন ও সতর্ক করতে হবে। কথায় বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

এইচআর/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।