হাট নয়, মুঠোফোনেই মিলছে কোরবানির গাড়ল
আর ভিড়ভাট্টা, গরমে হাঁসফাঁস কিংবা দামাদামির ঝক্কি নয়। সময় বদলেছে, বদলেছে কোরবানির পশু কেনার ধরনও। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন আর হাটে গিয়ে পশু বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই, মুঠোফোনে এক ক্লিকেই মিলছে কোরবানির জন্য প্রস্তুত স্বাস্থ্যসম্মত গাড়ল। অনলাইনে অর্ডার করলে নির্দিষ্ট দিনে পশুটি পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ির দোরগোড়ায়। পছন্দের পশু ঘরে বসে কেনার এই সহজ সুবিধা ক্রেতাদের যেমন স্বস্তি দিচ্ছে, তেমনি খামারিদের জন্য খুলে দিচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। ছবি: সোহান মাহমুদ
-
ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা। তবে এবার গরু-ছাগল নয়, আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে গাড়ল। হাটে নয়, এসব গাড়ল খামার থেকে সরাসরি বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। অর্ডারকৃত পশু খামার থেকে দেশের নানা প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে।
-
খামারিরা বলছেন, গাড়লের মাংস শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে পুষ্টিগুণও বেশি। পাশাপাশি গরু-ছাগলের তুলনায় দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ গাড়লের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের আমারক গ্রামে ‘প্রয়াস’ নামের একটি মানবিক উন্নয়ন সংস্থা গড়ে তুলেছে বড় পরিসরের একটি গাড়ল খামার। এক বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত এই খামার থেকেই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে শতাধিক গাড়ল। ক্রেতারা অর্ডার দিচ্ছেন মোবাইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, আর নির্দিষ্ট দিনে তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে পশুটি।
-
শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের চামা-ভাণ্ডার গ্রামের শহিদুল ইসলাম পাঁচ বছর ধরে গাড়ল পালন করছেন। এ বছর ঈদ উপলক্ষে তিনি ৩০টি গাড়ল প্রস্তুত করেছেন, এরই মধ্যে ২০টি বিক্রি হয়ে গেছে। বাকিগুলোও খুব শিগগিরই বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
-
প্রয়াসের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাজিন বিন রেজাউল জানান, খামারে পালন করা হয়েছে শতাধিক কোরবানিযোগ্য গাড়ল। প্রতিটি গাড়ল স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বড় করা হয়েছে। খামারে রয়েছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ জনবল, যারা প্রতিদিন গাড়লগুলোর যত্ন নিচ্ছেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির জন্য তারা ভালো সাড়া পাচ্ছেন।