ফাঁকা শহর পেরিয়ে ঢাকায় ফিরছে জীবনের কোলাহল

ঈদের ছুটির শেষে ঢাকা যেন আবার সেই পুরোনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে। ফাঁকা রাস্তাঘাট, নীরব শহর, নিঃসাড় সকালের পর আবারও দেখা মিলছে কর্মমুখর ঢাকার।

সকাল হতেই রাস্তায় দেখা যাচ্ছে মানুষের ভিড়, গাড়ির সারি, আর গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়াহুড়া। ঢাকার প্রতিটি এলাকায় যেন আবারও ছন্দ ফিরে এসেছে।

রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, হাতিরঝিলের পাশঘেঁষা সড়ক কিংবা মালিবাগগামী রাস্তা-সবখানেই এখন জমজমাট ব্যস্ততা।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা থাকা এই সব পথ এখন আবারও ঠাসা গণপরিবহনে, ব্যক্তিগত গাড়িতে আর অফিসগামী মানুষে।

সকাল ৮টার দিকেই দেখা গেছে, বাসের জন্য অপেক্ষমাণ কর্মজীবী নারী-পুরুষদের দীর্ঘ সারি। কেউ ছাতা মাথায়, কেউ রোদে পুড়ে অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য।

বাস এলেই শুরু হচ্ছে হুড়োহুড়ি; কে আগে উঠবে সে প্রতিযোগিতায় যেন হার-জিতের চেয়ে প্রয়োজনটাই মুখ্য।

কারোর মুখে ঈদের ক্লান্তি, কারোর চোখে ছুটি ফুরানোর হতাশা। তারপরও জীবন তো চলবেই, আর তাই ব্যস্ত ঢাকাও আবার ছন্দে ফিরছে।

সড়কে এখন আবার শোনা যাচ্ছে সেই চিরচেনা শব্দ; বিভিন্ন বাসের কন্ডাক্টরের হাঁকডাক, রিকশার ঘণ্টি, আর পেছনে পেছনে বেজে চলা হর্নের অনবরত শব্দ। কিছুক্ষণ পরপরই রামপুরা ব্রিজে তৈরি হচ্ছে যানজট, আবার তা কিছুদূর এগিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে চেনা যানজটকে সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশের চেষ্টা।

এই দৃশ্যগুলো শুধু ব্যস্ততা নয়, শহরের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিচ্ছবি। রামপুরার রাস্তায় তোলা ছবিগুলো যেন বলে দেয়, উৎসবের আমেজ শেষে মানুষ এখন আবার জীবিকার পথে। কারোর হাতে লাঞ্চবক্স, কারোর কাঁধে ব্যাগ, কারোর চোখেমুখে সকাল না হতেই অফিস পৌঁছানোর তাগিদ। ছবি গুলোতে ধরা পড়েছে ঢাকার সেই চিরচেনা ব্যস্ততা, যে ব্যস্ততার নামই হয়তো ‘নগরজীবন’।