তিন দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকরা
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। ছবি: হাসান আদিব
-
সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে সারাদেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
-
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে এন্ট্রি পদ সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দেওয়া, শতভাগ শিক্ষককে পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।
-
প্রাথমিক শিক্ষকদের ছয়টি পৃথক সংগঠনের মোর্চা ‘সহকরী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ মহাসমাবেশ আয়োজন করেছে। শিক্ষকদের এ মহাসমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
-
ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আজকের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে আমরা সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
-
তিন দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিকের শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন। চলতি বছরের ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব কর্মদিবসে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এরপর ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টা এবং ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত আধাবেলা কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।
-
২৬ মে থেকে অনির্দিষ্টকালেরর কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। টানা চারদিন কর্মবিরতির পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসে ১ জুন থেকে ক্লাসে ফিরে যান। আশ্বাসের তিনমাস পেরিয়ে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও রাজপথে নামছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা।
-
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড দশম। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।