সিঁদুর খেলার উল্লাসে দেবীকে বিদায়
দশমীর সকাল থেকেই ঢাকার রমনা কালি মন্দিরে ছিল উৎসবের রঙিন আবহ। পূজামণ্ডপে ভক্তরা শেষবারের মতো দেবীর কাছে প্রণাম জানিয়ে নিলেন শান্তি, সমৃদ্ধি আর শক্তির আশীর্বাদ। দেবী দুর্গার পায়ের কাছে সিঁদুর ছুঁয়ে একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন নারীরা। এ যেন শুধু এক আচার নয়, জীবনের জয়গান-অশুভের ওপর শুভের, অন্ধকারের ওপর আলোর জয়। ছবি: মাহবুব আলম
-
প্রতিবারের মতো এবারও দশমীর দিনে রমনা কালি মন্দিরে নারী ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
-
লাল-শাড়ি-সাজে, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল মন্দির প্রাঙ্গণ।
-
দেবীকে বিদায় জানানোর আগে নারীরা একে অপরকে সিঁদুর দিয়ে বরণ করলেন নতুন শক্তি ও আশার প্রতীক হিসেবে।
-
সিঁদুর খেলার এ আচার শুধু আনন্দ নয়, সম্পর্কের বন্ধন ও সাম্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
-
বিজয়া দশমী মানেই একদিকে দেবী বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে নতুন করে জীবনযাপনের প্রেরণা।
-
মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের চোখে আনন্দাশ্রুর ঝিলিক ছিল স্পষ্ট, ‘আসছে বছর আবার হবে’ এই আশায় ভক্তরা বিদায় জানালেন মা দুর্গাকে।
-
রমনা কালি মন্দিরের বিসর্জন উৎসবে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তই নয়, উৎসুক সাধারণ মানুষও ভিড় জমিয়েছিলেন।
-
ছবি তুলতে ব্যস্ত অনেকেই।
-
শুধু নারীরাই নয়, অনেক পুরুষই স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন।
-
ধর্মীয় সীমানা পেরিয়ে দুর্গাপূজার এ বিজয়া উৎসব আজ হয়ে উঠেছে মিলনমেলা, যেখানে একসঙ্গে ভাগাভাগি করা হয় আনন্দ, রঙ আর ভক্তির আবহ।
-
দেবীর বিদায়ের সঙ্গে শেষ হলো পাঁচ দিনের উৎসব, তবে রেখে গেল শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও শুভের বার্তা।
-
ঢাকার রমনা কালি মন্দিরের বিজয়া উৎসব তাই হয়ে উঠল স্মরণীয়-যেখানে একদিকে চোখের জলে দেবী বিদায়, অন্যদিকে হাসিমাখা মুখে সিঁদুরের রঙে ভক্তদের মিলন।