ছবিতে রুপনগর অগ্নিকান্ডের পরের অবস্থা
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাককারখানা ও কসমিক ফার্মা নামের এক কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৪ অক্টোবর এ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সবার মরদেহ পোশাককারখানার ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ভবনের নিচতলায় আগুনের তীব্রতা থাকায় এবং ছাদে ওঠার দরজা দুটি তালা দিয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই ভবন থেকে বের হতে পারেননি। ফলে ওই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আটকে আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তারা। সেদিন রাতে অগ্নিনিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব তথ্য জানান। ছবি: মাহবুব আলম
-
আগুন লাগার পর মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অনেক বাসিন্দা ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ান। কেউ জানে না আগুন ছড়িয়ে পড়বে কিনা, কেউ চিন্তায় আছে বিষাক্ত ধোঁয়ার প্রভাবে।
-
চারদিক ধোঁয়ায় অন্ধকার, বাতাসে শ্বাস নেওয়াই কঠিন-তবু তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আগুন নেভানোর।
-
কেমিক্যাল পোড়ার গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাস্থলে থাকা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা বারবার অনুরোধ করছেন, ‘দয়া করে দূরে থাকুন, বাতাসে বিষাক্ত রাসায়নিক আছে।’
-
তবুও রাস্তার পাশে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। কেউ মোবাইল হাতে ভিডিও তুলছেন, কেউ লাইভ দিচ্ছেন, কেউ আবার কৌতূহল মেটাতে ধোঁয়ার ভেতর তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন।
-
একদিন পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে কসমিক ফার্মা নামের কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন এখনও নেভেনি। উড়ছে ধোঁয়া। ধোঁয়ার উৎপত্তিস্থল অনুসন্ধান করতে গোডাউনটির ভেতরে প্রবেশ করছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারজন সদস্য কেমিক্যাল ফায়ার স্যুট পরে গোডাউনের ভেতরে প্রবেশ করেন।
-
আগুন নেভানোর কাজটা একেবারে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধের মতো। কেমিক্যাল আগুনের ক্ষেত্রে সাধারণ পানি ব্যবহার করা যায় না; এতে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ফায়ার সার্ভিসকে ব্যবহার করতে হয় বিশেষ ফোম ও রাসায়নিক পদার্থ। প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয় সাবধানতার সঙ্গে, কারণ সামান্য ভুলও হতে পারে প্রাণঘাতী।