পর্দার পেছনের নিরব, জন্মদিনে ফিরে দেখুন ভিন্ন এক মানুষকে
ঢাকাই বিনোদন অঙ্গনে নিরব হোসেনের নামটি উচ্চারিত হলে অনেকেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক নিঃশব্দ কিন্তু দৃঢ়চেতা অভিনেতার মুখ। যিনি কখনও রোমান্টিক প্রেমিক, কখনও নিষ্পাপ যুবক আবার কখনও নিঃস্বার্থ চরিত্রে মন ছুঁয়েছেন। কিন্তু ক্যামেরার ঝলকানির আড়ালে, লাইট-সাউন্ড-অ্যাকশন এর শোরগোলের বাইরে দাঁড়িয়ে এক অন্য নিরব, যিনি হয়তো বেশি করে অনুভব করেন, কিন্তু কম বলেন। আজ তার জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক সেই ‘অন্য নিরব’কে, যিনি হয়তো আপনার চোখে ধরা পড়েনি। ছবি: অভিনেতার ফেসবুক থেকে
-
নিরবের মিডিয়ায় পা রাখার গল্পটা অনেকের জানা। মডেলিং দিয়ে শুরু, তারপর নাটক, বিজ্ঞাপন আর অবশেষে বড়পর্দায় যাত্রা। কিন্তু খুব কম মানুষ জানেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে নিরবকে কতবার বলতে হয়েছিল, ‘অভিনয়ের জন্য আমার আগ্রহ সত্যি’, ‘আমি একদিন পারব’।
-
তিনি যখন একের পর এক অডিশনে যাচ্ছেন, অনেকে তখন এক ঝলক দেখে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিরব জানতেন, চুপচাপ হেঁটে গেলেও কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত ঠিক পৌঁছায়।
-
পর্দায় যতটা প্রাণবন্ত, বাস্তব জীবনে নিরব ঠিক ততটাই নীরব ও অন্তর্মুখী। পরিচিত মহলে তিনি একজন চুপচাপ, ভদ্র, ভীষণ সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে পরিচিত।
-
তারকাখ্যাতির মোহে আবদ্ধ না হয়ে নিরব বরাবরই বেছে নিয়েছেন নিম্নকণ্ঠের প্রোফাইল, অভিনয় দিয়ে কথা বলার সিদ্ধান্ত।
-
তিনি কখনোই অহেতুক বিতর্কে জড়ান না, কিংবা সংবাদ শিরোনাম হতে ব্যস্ত থাকেন না। বরং তিনি চান তার চরিত্রগুলোই দর্শকের মনে দাগ কাটুক।
-
বলিউডের ‘শয়তান’ কিংবা মালয়েশিয়ান ‘বাংলাশিয়া’ ছবিতে কাজ করেও নিরব কখনো বিদেশে কাজ করাকে ‘বিশেষ অর্জন’ বলে ভাঙিয়ে খেতে চাননি। বরং তিনি বিশ্বাস করেন, ‘যেখানে ভালো গল্প, সেখানেই একজন শিল্পীর জায়গা।’
-
নিরবের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি একজন দারুণ পরিবারপ্রেমী মানুষ। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অনেকটা ঘরোয়াভাবে ভালোবাসার মানুষ তাশফিয়া তাহের ঋদ্ধিকে বিয়ে করেন এই নায়ক। তাদের দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
-
গুণী এই অভিনেতা কাজ ও পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করেন নিপুণভাবে।