নায়িকা থেকে নস্টালজিয়া, ছবিতে ছোটবেলার ক্রাশ পূর্ণিমা
একটা সময় ছিল, যখন টেলিভিশনের পর্দায় পূর্ণিমার হাসি দেখেই অনেকের দিন শুরু হতো। তার চোখের চাহনি, মিষ্টি হাসি আর স্বভাবসুলভ সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিল এক প্রজন্ম। স্কুলব্যাগে লুকিয়ে রাখা সিনেমার পোস্টার কিংবা ডায়েরির পাতায় লেখা তার নাম-সেই স্মৃতিগুলো আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে। পূর্ণিমা শুধু একজন জনপ্রিয় নায়িকাই নন, ছিলেন অনেকের কৈশোরের ক্রাশ, প্রথম ভালো লাগার নাম। আজ তার জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক সেই পুরোনো ভালোবাসা, সেই নস্টালজিয়ার দিনগুলো। ছবি: অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে
-
১৯৮১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তার জন্ম। অভিনেত্রীর পুরো নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।
-
খুব ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি ছিল তার ঝোঁক। মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৯৭ সালে ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
-
২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে পূর্ণিমা হয়ে ওঠেন ঢালিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রিয় মুখ। ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘সুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘জিনের বাদশা’, ‘রক্ষা করো বাঘ মামা’, ‘হৃদয়ের কথা’সহ একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে তার অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকের। বিশেষ করে তার সংলাপ বলার ভঙ্গি, সহজ-সরল রূপ আর শালীনতায় মোড়া সৌন্দর্যে সে সময়ের তরুণ প্রজন্ম হয়ে পড়েছিল মুগ্ধ।
-
সেই সময়ে অনেকেরই ‘ফার্স্ট লাভ’ হয়ে উঠেছিলেন পূর্ণিমা। কলেজের দেয়ালে আঁকা তার পোস্টার, সিনেমার কাটআউটে মুখের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা কিংবা পুরনো টিভিতে ‘পূর্ণিমার ছবি’ বললেই চোখ আটকে যাওয়া-এসবই যেন একরাশ নস্টালজিয়া।
-
আজকের প্রজন্ম হয়তো ‘ক্রাশ’ শব্দটি ব্যবহার করে, কিন্তু নব্বই-দশকের ছেলেমেয়েরা জানত, সেই অনুভবের নাম ছিল পূর্ণিমা।
-
পূর্ণিমা সব সময় ছিলেন মার্জিত ও পরিপাটি ফ্যাশন সেন্সের অধিকারী। তার ট্র্যাডিশনাল লুক কিংবা ওয়েস্টার্ন পোশাকেও থাকত পরিমিত গ্ল্যামার। ক্যামেরার সামনে যেমন সাবলীল, ব্যক্তিগত জীবনেও তেমনই বিনয়ী ও সম্মানীয় আচরণে প্রশংসিত তিনি।
-
বর্তমানে তিনি নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কিংবা ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মাঝেমধ্যে ফিরে আসেন আলোচনায়। এত বছর পরও তার নাম শুনলেই অনেকের মুখে হাসি ফুটে ওঠে, স্মৃতিতে ফিরে আসে সেই পুরোনো দিনগুলোর কথা।
-
পূর্ণিমা শুধুই নায়িকা নন, তিনি এক সময়ের আবেগ, এক প্রজন্মের ভালো লাগা। আজ তার জন্মদিনে আমরা তাকে জানাই শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা।