শুভ জন্মদিন হাসির জাদুকর অমি
বাংলাদেশের টেলিভিশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দর্শকেরা এখন যে নামটি শুনলেই আলাদা এক আনন্দে ভরে ওঠেন, তিনি কাজল আরেফিন অমি। আজ তার জন্মদিন। প্রথাগত নির্মাতাদের ভিড়ে তিনি একেবারেই আলাদা, কারণ তার প্রতিটি কাজে থাকে হাসি, গল্পে থাকে সাধারণ জীবনের টুকরো টুকরো বাস্তবতা আর চরিত্রগুলো হয়ে ওঠে দর্শকের আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
কাজল আরেফিন অমির শুরুটা সহজ ছিল না। একসময় লেখালিখি আর ছোট ছোট আইডিয়া নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিলেন তিনি।
-
নাটকের জগতে আসার পর থেকেই নিজের আলাদা ধাঁচে গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। প্রথম দিকে কাজগুলো বেশি পরিচিতি না পেলেও ধীরে ধীরে তার নির্মাণশৈলী ও কমেডির অভিনব ধরন দর্শকপ্রিয় হতে থাকে।
-
বাংলাদেশের নাটক যখন একঘেয়ে গল্পের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছিল, তখন অমির হাত ধরেই নতুন এক ধারা জন্ম নেয়। তিনি প্রমাণ করেন, কমেডি মানেই কেবল অযথা শব্দ বা অদ্ভুত আচরণ নয়, বরং জীবনের ভেতরেই লুকিয়ে আছে হাসি।
-
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ব্যাচেলর ট্রিপ’, ‘ব্যাচেলর ডটকম’ কিংবা ‘ব্যাচেলরস’-প্রতিটি কাজেই অমি দেখিয়েছেন কিভাবে সাদামাটা গল্পকেও অসাধারণ করে তোলা যায়।
-
বর্তমান তরুণ প্রজন্ম তাকে শুধু একজন নির্মাতা নয়, বরং ‘মুড লিফটার’ হিসেবেও দেখে। তার নাটক বা সিরিজ মানেই একরাশ হাসি, আর সেই হাসি অনেকসময় দর্শকদের মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।
-
অমির কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-তিনি চরিত্রগুলোকে খুব সাধারণভাবে হাজির করেন। যেমন-পাশের বাড়ির ছেলেটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু কিংবা রুমমেট। এই বাস্তবতার জন্যই দর্শক চরিত্রগুলোকে নিজের মতো করে ভালোবাসতে পারে।
-
বাংলাদেশের ওটিটি কনটেন্টের জনপ্রিয়তাও অনেকখানি বেড়েছে তার হাত ধরে। নাটক থেকে ওয়েব সিরিজে আসার পরও তিনি নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন। বরং গল্প ও নির্মাণশৈলীর নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
-
কাজল আরেফিন অমির কাজের আরেকটি বড় দিক হলো-তার গল্প দর্শককে একত্র করে। বন্ধুদের আড্ডা, পরিবারের মজার ঘটনা কিংবা ভালোবাসার টুকরো টুকরো মুহূর্ত-এসবই মানুষকে কাছাকাছি আনে। তার নাটক বা সিরিজে দর্শক নিজেদের খুঁজে পান সেই সম্পর্কগুলো যেগুলো হয়তো ব্যস্ত জীবনে হারিয়ে যাচ্ছিল।
-
অমি শুধু একজন নির্মাতা নন, তিনি এক যুগের বিনোদনের ভাষ্যকার। তার গল্প, চরিত্র, হাসি সব আগামী দিনেও বাঙালির বিনোদনের অংশ হয়ে থাকবে।