কে বেশি সুন্দরী? অপু না পরী
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তাদের রূপ, গ্ল্যামার আর অভিনয়-সব কিছুই দর্শকের আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। বিশেষ করে দুই জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস ও পরীমনি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ সবসময়ই তুঙ্গে। প্রায়ই দেখা যায়, ভক্তদের মধ্যে তুলনা চলে ‘কে বেশি সুন্দরী? অপু না পরী!’ ছবি: তারকাদের ফেসবুক থেকে
-
কিন্তু আসলেই কি সৌন্দর্যের নির্দিষ্ট কোনো মাপকাঠি আছে? আর থাকলেও, সেই মাপকাঠিতে কি কেবল বাহ্যিক রূপই সৌন্দর্যের আসল পরিচয়?
-
অপু বিশ্বাস ঢাকাই ছবির এক স্বর্ণালী অধ্যায়ের নাম। তার ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘কিংবদন্তি’ শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন।
-
তার হাসি, সরলতা, আর পর্দায় উপস্থিতি তাকে ভক্তদের কাছে করে তুলেছে ‘পাড়ার মেয়ে’র মতো আপন। অপুর সৌন্দর্য বেশি ধরা দেয় তার নম্রতায় এবং বাঙালি গড়নের স্বাভাবিক আবেদনময়তায়।
-
পরীমনি একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের নায়িকা। গ্ল্যামার, আত্মবিশ্বাস আর সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি আলোচনায় এসেছেন।
-
তার চোখের চাহনি, স্টাইল আর ফ্যাশন সেন্স তাকে আলাদা করে চেনায়। পরীর সৌন্দর্য অনেকটা আধুনিকতার প্রতীক-যেখানে আভিজাত্য আর আকর্ষণীয় উপস্থিতিই মুখ্য।
-
যখন বলা হয় ‘কে বেশি সুন্দরী?’, তখন মনে রাখা দরকার, সৌন্দর্য কেবল বাহ্যিক নয়। একজনের মিষ্টি হাসি যেমন সৌন্দর্যের অংশ, তেমনি অন্যজনের আত্মবিশ্বাসও হতে পারে আলাদা সৌন্দর্য।
-
অপু বিশ্বাসের সৌন্দর্যে মিশে আছে মাতৃত্ব, অভিনয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও একধরনের সহজাত মাধুর্য। অন্যদিকে পরীমনির সৌন্দর্যে রয়েছে তার সাহসী জীবনযাপন, আধুনিকতা ও অনন্য ক্যারিশমা।
-
অপু আর পরীর সৌন্দর্যকে যদি তুলনা করতেই হয়, তবে বলা যায়-অপুর সৌন্দর্য হৃদয়ের কাছে, আর পরীর সৌন্দর্য দৃষ্টির কাছে।
-
অপুর সরলতা যেখানে ঘরোয়া আবহ তৈরি করে, পরীমনির স্টাইলিশ রূপ সেখানে তারকাখ্যাতির উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়ায়। দুজনের সৌন্দর্য ভিন্ন ধারার, ভিন্ন রূপে পরিপূর্ণ।
-
আসলে অপু বিশ্বাস ও পরীমনি, দুজনেই নিজেদের জায়গায় অনন্য সুন্দরী। একজনের সৌন্দর্য যেখানে ঐতিহ্যের ছায়া মেলে ধরে, অন্যজনের সৌন্দর্য সেখানে আধুনিকতার ঝলক আনে। তাই কে বেশি সুন্দরী, এর চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো-আপনি কোন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে চান? ঐতিহ্যের মায়ায় ভরা অপু, নাকি আধুনিক গ্ল্যামারে উজ্জ্বল পরী?