হাস্যরস হোক কিংবা হৃদয়ভাঙা সংলাপ সবকিছুতেই পারদর্শী পরেশ
সিনেমার পর্দায় কখনো ‘বাবু রাও’ হয়ে হাসিতে ভরিয়ে দিয়েছেন, তো কখনো ‘সর্দার প্যাটেল’ হয়ে চিন্তার গভীরে ডুবিয়েছেন দর্শককে। বলছি বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের কথা। যিনি নিজেকে কখনো এক ঘরানায় আটকে রাখেননি। হালকা মেজাজের চরিত্র থেকে শুরু করে গা ছমছমে খলনায়ক কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সবকিছুতেই তিনি অসামান্য। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
আজ তার জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের এই দিনে ভারতের মুম্বাই (তৎকালীন বম্বে), মহারাষ্ট্র শহরের এক গুজরাটি পরিবারে জন্ম তার।
-
তার সংলাপ, চোখের অভিব্যক্তি আর নির্ভুল টাইমিং আজও মিম, রিল আর সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম উপাদান। কিন্তু শুধু হাসির চরিত্র দিয়েই পরেশকে বিচার করলে ভুল হবে।
-
নব্বইয়ের দশকে পরেশ রাওয়াল বলিউডে বহু খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
-
‘তামানা’, ‘রাম লক্ষণ’, ‘করণ অর্জুন’, ‘আন্ধা কানুন’–প্রতিটি ছবিতে তার নেতিবাচক চরিত্রে ছিল অভিনয়ের গাঢ়তা। তবে কখনোই তা একঘেয়ে হয়নি। তার অভিনয়ে ছিল বাস্তবতা, যে কারণে দর্শক চরিত্রকে ঘৃণা করলেও অভিনেতাকে নয়।
-
‘সর্দার’ ছবিতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি প্রমাণ করেন যে তিনি শুধু কমিক টাইমিং-এর নয়, ইতিহাস ও গভীর আবেগের ভাষাও বোঝেন।
-
অভিনয়ের বাইরে পরেশ রাওয়াল ভারতীয় রাজনীতিতেও যুক্ত। তিনি লোকসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু রাজনীতি তার শিল্পীসত্তাকে চাপা দিতে পারেনি। বরং পর্দায় বা বাইরে তিনি সবসময়ই ছিলেন যুক্তিবাদী, স্পষ্টভাষী ও বিশ্বাসযোগ্য।