পর্দার প্রেমিক, বাস্তবের যোদ্ধা-ছবিতে জানুন আর. মাধবনের গল্প
রোমান্টিক নায়ক হিসেবে একসময় যিনি লাখো দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন, সেই আর. মাধবন আজ শুধুই একজন অভিনেতা নন; তিনি একজন প্রেরণা, নির্মাতা ও ভিন্ন ধারার চিন্তক। বয়স ৫০ পেরিয়েও যিনি অভিনয়, ব্যক্তিত্ব আর মূল্যবোধে দেখাচ্ছেন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিকতা। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৭০ সালের এই দিনে ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে তার জন্ম। এই অভিনেতার বাবা ছিলেন টাটা স্টিল কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ও মা ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। পড়াশোনায় ছিলেন মেধাবী, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শেষ করে একটি সময় তিনি হয়ে উঠেছিলেন দক্ষ বক্তা এবং যুক্তিবিদ।
-
প্রথম দিকে দক্ষিণ ভারতের টিভি সিরিয়াল দিয়ে শুরু হয় মাধবনের ক্যারিয়ার। এরপর ২০০০ সালে মণি রত্নম পরিচালিত ‘আলয়পায়ুধে’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান। ধীরে ধীরে বলিউডেও পা রাখেন তিনি।
-
২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমায় মাধবনের অভিনয় আজও রোমান্টিক সিনেমার ইতিহাসে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। ‘মাধব’ চরিত্রটি হয়ে ওঠে প্রেমিক পুরুষের আদর্শ প্রতীক।
-
মাধবনের ক্যারিয়ার কখনো একঘেয়ে হয়নি। ‘রং দে বসন্তি’, ‘গুরু’, ‘তানু ওয়েডস মানু’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, কিংবা ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি ইফেক্ট’-প্রতিটি চরিত্রেই ছিল অভিনয়ের পরিপক্বতা ও গভীরতা। তিনি কখনো কৌতুক করেই মন জয় করেছেন, আবার কখনো বাস্তব চরিত্র হয়ে দর্শকদের চিন্তায় ডুবিয়েছেন।
-
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রকেট্রি’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন। ভারতের বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমা দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়।
-
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রকেট্রি’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন। ভারতের বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনের জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমা দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়।
-
মাধবন শুধুই অভিনয়ের মানুষ নন, তিনি একজন সমাজসচেতন ও চিন্তাশীল মানুষ। নারীদের প্রতি সম্মান, শিশু শিক্ষার প্রচার এবং বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গিতে তার সক্রিয় ভূমিকা তাকে আলাদা করে চেনায়।
-
ব্যক্তিজীবনে মাধবন স্ত্রী ও এক ছেলের গর্বিত পরিবারপ্রেমী মানুষ। তার স্ত্রীর নাম সরিতা, যিনি একজন কস্টিউম ডিজাইনার। ছেলে বেদান্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন সাঁতারু।