গীতা কাপুর: শুধু শিক্ষক নন, শিল্পী গড়ে ওঠার মা তিনি
নৃত্য শুধু শরীরের আন্দোলন নয়, আত্মার প্রকাশ; এই দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে অনেক তরুণ-তরুণীর জীবন বদলে দিয়েছেন গীতা কাপুর। তিনি শুধু একজন কোরিওগ্রাফার নন, অনেক শিল্পীর ‘গীতামা’। পর্দার আড়ালে থেকে, কিংবা রিয়েলিটি শোর বিচারকের আসনে বসে তিনি শুধু নাচ শেখাননি, শিখিয়েছেন অনুশীলনের ধৈর্য, পরিশ্রমের সম্মান এবং স্বপ্ন দেখার সাহস। কঠোরতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা তার মমতাই আজ তাকে গড়ে তুলেছে এক অনন্য উচ্চতায়। জন্মদিনে তাই তাকে শুধু অভিনন্দন নয়, কৃতজ্ঞতাও জানায় অগণিত শিষ্য আর অনুরাগী। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৭৩ সালের এই দিনে মুম্বাইয়ে এক সাধারণ পরিবারে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন গীতি। বলিউডের স্বপ্ন ছিল চোখে, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর রাস্তা মোটেও সহজ ছিল না।
-
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি পা রাখেন বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের সহকারী হিসেবে। এরপর নেপথ্যের শিল্পী থেকে ধীরে ধীরে ক্যামেরার সামনে এসে জায়গা করে নেন ‘নৃত্যগুরু’ হিসেবে।
-
গীতা কাপুর দীর্ঘ সময় ফারাহ খানের সহকারী হিসেবে কাজ করেন, যেটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ‘দিল সে’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘ম্যায় হু না’ এর মতো ছবিতে ফরাহর সঙ্গে কাজ করে তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন।
-
তার নিজের পরিচিতি গড়ে ওঠে জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ এর মাধ্যমে। সেখানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি হয়ে ওঠেন সবার প্রিয় ‘গীতামা’। কঠোর হলেও আন্তরিক, কড়া হলেও আবেগপ্রবণ-এই দ্বৈত সত্তাই তাকে করে তোলে অনন্য।
-
‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ শুধুই একটি নাচের শো নয়, বরং গীতা কাপুরের স্বপ্ন বোনার মঞ্চ। তিনি শুধু বিচারক নন, একজন পরামর্শদাতা, একজন অভিভাবক, এমনকি অনেকের কাছে মা-সদৃশ। তার শিষ্যদের প্রতি দায়িত্বশীলতা, সংবেদনশীলতা আর নিখুঁত প্রশিক্ষণ তাকে এনে দেয় অগণিত ভক্তের ভালোবাসা।
-
তিনি স্টাইল ও আবেগের এক দারুণ মিশেল দিয়ে গড়ে তোলেন একেকটি পারফরম্যান্স। আধুনিক আর ক্ল্যাসিকের মেলবন্ধন তার কোরিওগ্রাফিকে দেয় বিশেষ মাত্রা।
-
গীতা কাপুর কখনোই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে আসেননি বেশি। তবে তিনি সবসময় শিষ্যদের পাশে থেকেছেন, বিশেষ করে যারা সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠী থেকে উঠে এসেছেন।
-
অনেক প্রতিভাবান তরুণ-তরুণী তার কাছে পেয়েছেন সুযোগ, পেয়েছেন আশ্রয়।