বিচ, বিকিনি আর ভালোবাসা, প্রিয়াঙ্কার বাহামাস ডায়েরি
৪৩তম জন্মদিনটা যেন রূপকথার মতো করে কাটালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ক্যারিয়ারের ব্যস্ততা, হলিউড-বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েও সময়টা রাখলেন শুধুই নিজের জন্য। আরও নির্দিষ্ট করে বললে পরিবার ও ভালোবাসার জন্য। স্বামী নিক জোনাস, কন্যা মালতী মেরী ও শ্বশুরবাড়ির ঘনিষ্ঠদের নিয়ে উড়াল দিলেন বাহামাসের স্বপ্নসৌন্দর্যে। রোদে গা ভিজিয়ে, সাগরের ঢেউয়ে পা ডুবিয়ে, একের পর এক গ্ল্যামারাস বিকিনি লুকে তিনি যেন পুরো দ্বীপে ছড়িয়ে দিলেন নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট। ইনস্টাগ্রামে ধরা পড়া মুহূর্তগুলো শুধু ভ্যাকেশন নয়, যেন হয়ে উঠেছে এক ভালোবাসার দিনলিপি। সেই রঙিন ডায়েরির পাতা খুলেই এবার দেখে নেই প্রিয়াঙ্কার এই বিশেষ সফরের সেরা সব লুক ও মুহূর্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
সাগরপাড়ে উষ্ণ আলোর নিচে লাল রঙে মোহময়ী প্রিয়াঙ্কা। এই লুকে ছিল পার্ল এমবেলিশড হাইলাইটস, যা নজর কাড়ার মতো।
-
স্রোতছোঁয়া বালুকাবেলায় হাসিমুখে তোলা ছবিতে দেখা যায় মা, মেয়ে আর বাবার নিখাদ আনন্দ।
-
বড় রাউন্ড সানগ্লাসের সঙ্গে ম্যাচিং হ্যাটে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি মালতীকেও হ্যাট পরানো হয়েছিল রোদ থেকে বাঁচাতে।
-
বিলাসবহুল বোটে আরাম করে বসে থাকা প্রিয়াঙ্কার গ্ল্যামার যেন অন্য এক লেভেলের। চোখে লালচে শেডস, ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক পুরোটাই যেন সিনেমার দৃশ্য।
-
৯০ দশকের ফ্যাশন যেন ফিরে এলো তার রেট্রো সানগ্লাস ও মাইক্রো বিকিনির কম্বিনেশনে।
-
এই লুকটা ছিল একেবারে ফিউচারিস্টিক। সাইফাই ঘরানার সানগ্লাস আর চেন পেনড্যান্টে ঝলমলে তিনি।
-
প্রিয়াঙ্কা আরও একবার প্রমাণ করলেন কেন তাকে ফ্যাশনের সাহসী কুইন বলা হয়।
-
সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা হয়তো এখানেই। সাজ ছাড়া, কেবল আলো আর হাসি সেটাই ছিল এই লুকের মোহনীয়তা।
-
স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পাওয়া গেল তাকে। নিকের চোখেও যেন নতুন করে প্রেম।
-
জলছোঁয়া শরীরে টোনড ফিগারে কালো মনোকিনি ছিল এক কথায় হৃদয় চুরি করা।
-
এক দীর্ঘাঙ্গী, আত্মবিশ্বাসী নারীর হালকা ঝিরিঝিরি বাতাসে উড়তে থাকা পোশাকে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
-
এই ভ্যাকেশনের প্রতিটি ছবি ছিল ভালোবাসায় মোড়া। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ সময় বলেই বোঝা যায়, প্রিয়াঙ্কার কাছে পরিবার ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়ে জন্মদিনের এই ট্রিপটিকে প্রিয়াঙ্কা নিজেই বলেছেন তার ‘সেরা বার্থডে ট্রিপ।
-
ইনস্টাগ্রামের এক ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, এই মুহূর্তগুলোকেই আমি চিরকাল বাঁচিয়ে রাখতে চাই।
-
গ্ল্যামার, ভালোবাসা, হাসি, আর ছুটির নির্ভার মুহূর্তে মোড়া এই সফর প্রমাণ করল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এখন শুধু দেশি গার্ল নন, তিনি একজন ওয়ার্ল্ডওয়াইড আইকন।