গ্ল্যামার পেরিয়ে গভীরতা, জন্মদিনে জানুন সুরিয়ার অজানা কিছু
চকচকে রুপালি পর্দা, চোখ ধাঁধানো আলো আর স্টারডম-এইসব কিছুতেই তিনি আছেন, কিন্তু তাতেই যেন তার পরিচয় সীমাবদ্ধ নয়। দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সুরিয়া শিবকুমার এমন একজন তারকা, যিনি গ্ল্যামার পেরিয়ে সমাজ ও বাস্তব জীবনে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার নাম। আজ তার জন্মদিনে চলুন জেনে নিই তার কিছু অজানা অধ্যায় পর্দার বাইরে থাকা এক সত্যিকারের ‘নায়ক’ এর গল্প। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৭৫ সালের এই দিনে ভারতের চেন্নাইয়ে তার জন্ম। তার আসল নাম সারাভানন শিবকুমার।
-
জনপ্রিয় অভিনেতা শিবকুমারের ছেলে হলেও তার অভিনয়জীবনের শুরুটা মোটেও রাজপথে হয়নি। বাবার পরিচয়ে নয়, নিজেকে প্রমাণ করেই উঠেছেন তিনি।
-
নিজের প্রথম সিনেমা ‘নারুক্কু নির’ এ ছিলেন যথেষ্ট লাজুক এবং অনভিজ্ঞ। তবে সময়ের সঙ্গে তার অভিনয়ে আসে পরিণত ভাব, চরিত্রের গভীরতা।
-
সুরিয়া কখনও কেবল হিরোইজমের মোড়কে মোড়ানো নায়ক হননি। বরং একেকটি চরিত্রের জন্য তিনি নিজেকে বদলে নিয়েছেন।
-
‘নান্দা’, ‘পিথামাগন’, ‘ভারানাম আয়িরাম’, ‘টোয়েন্টি ফোর’, ‘সুরারাই পত্রু’, সবখানেই তাকে পাওয়া গেছে নতুন রূপে। বিশেষ করে ‘সুরারাই পত্রু’ ছবিতে মুরুঘানাথম শাওন চরিত্রে তার অভিনয় ছিল হৃদয় ছোঁয়া। এই ছবি তাকে শুধু জাতীয় পুরস্কারই এনে দেয়নি, এনে দিয়েছে কোটি ভক্তের ভালোবাসা।
-
অভিনয়ের বাইরেও সুরিয়া সমাজসেবায় হয়ে উঠেছেন আলোচিত নাম। তিনি গড়ে তুলেছেন ‘আগারাম ফাউন্ডেশন’ একটি অলাভজনক সংস্থা যা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। তার বিশ্বাস, ‘শিক্ষা দিতে পারলেই সমাজ বদলাবে’ এটিই তার মিশন। প্রচারের আলো এড়িয়ে, নীরবে তিনি বহু পরিবারের জীবন বদলে দিয়েছেন।
-
নায়িকা জ্যোতিকার সঙ্গে সুরিয়ার প্রেম ও পরবর্তী বিয়ে ছিল বহু ভক্তের কাছেই রোমান্টিক অনুপ্রেরণা। দুজন একসঙ্গে কাজ করার সময়ই একে অপরের প্রতি ভালোলাগা জন্মায়।
-
২০০৬ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আজও বলিউড-টলিউডে একটি ‘আইডিয়াল কাপল’ এর উদাহরণ।
-
সুরিয়ার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তামিলনাড়ু স্টেট অ্যাওয়ার্ডসহ নানা সম্মান।