মডেলিং থেকে মুভি স্টার, কৃতি স্যাননের সফল অভিযাত্রা
রঙিন পর্দার আলো ঝলমলে জগতে নাম লেখানো সহজ নয়। আর সেই জায়গা ধরে রাখা তো আরও কঠিন। কিন্তু কৃতি স্যানন যেন চুপিচুপি বলিউডে নিজের জন্য এক দৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলেছেন। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে জানুন কৃতির জীবনযাত্রার অনন্য পথচলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৯০ সালের এই দিনে ভারতের নয়া দিল্লিতে তার জন্ম। পড়াশোনায় তিনি ছিলেন বেশ মেধাবী। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে নোয়েডার জেপি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। কিন্তু ক্যামেরার প্রতি ভালোবাসা তাকে ডেকে নিয়েছিল অন্য পথে।
-
বন্ধুরা ছবি তুলে পাঠিয়েছিল একটি মডেলিং প্রতিযোগিতায়, সেখান থেকেই শুরু কৃতির যাত্রা। বিজ্ঞাপন, ক্যাটওয়াক, ফটোশুট ধীরে ধীরে ফ্যাশন দুনিয়ার পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
-
কৃতির চলচ্চিত্রে অভিষেক ২০১৪ সালে, তেলেগু ছবি নেনোক্কাদিনে-এ, যেখানে তিনি অভিনয় করেন সুপারস্টার মহেশ বাবুর বিপরীতে। তার অভিনয় ও উপস্থিতি নজর কাড়ে সমালোচক এবং দর্শক উভয়েরই।
-
এরপর সে বছরই বলিউডে দারুণ ঝলক নিয়ে হাজির হন ‘হিরোপান্তি’ ছবির মাধ্যমে। টাইগার শ্রফের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেই প্রমাণ করেন তিনি এখানে দীর্ঘ পথ চলতেই এসেছেন। এই ছবির জন্য কৃতি জিতে নেন ‘ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল ডেবিউ অ্যাওয়ার্ড’।
-
অনেক অভিনেত্রী যেখানে শুধুই গ্ল্যামারাস চরিত্রে আটকে থাকেন, কৃতি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন ধাপে ধাপে।
-
‘বরেলি কি বরফি’, ‘লুকা চুপি’, ‘মিমি’ প্রত্যেকটি ছবিতে তিনি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন।
-
বিশেষ করে ‘মিমি’ ছবিতে একজন সারোগেট মায়ের চরিত্রে তার অভিনয় তাকে শুধু প্রশংসাই নয়, অভিনেত্রী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়।
-
এই ছবির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন, যা কৃতির ক্যারিয়ারে এক অনন্য মাইলফলক।
-
কৃতি কখনও বিতর্কে জড়াননি, আবার অতিরিক্ত মিডিয়া শো-অফেও নেই। তিনি নিজের কাজ দিয়ে, প্রতিভা দিয়ে এগিয়ে গেছেন।
-
একসময় তাকে কেবল ‘সুন্দরী মুখ’ বললেও, আজ তিনি একজন সফল ও পরিপক্ব অভিনেত্রী হিসেবে সমাদৃত।
-
তার স্টাইল সেন্স, ব্যক্তিত্ব এবং ফিল্ম চয়েস সব মিলিয়ে কৃতি এখন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন।
-
বর্তমানে কৃতি শুধু অভিনেত্রী নন, একজন প্রযোজকও। ‘ব্লু বাটারফ্লাই ফিল্মস’ নামে নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ খুলেছেন।
-
এতে প্রমাণ হয় তিনি শুধু ক্যামেরার সামনে থাকতে চান না, বরং শিল্প নির্মাণের পেছনের কাজেও সমান আগ্রহী।