রাজবংশের সন্তান থেকে রুপালি পর্দার তারকা সাইফ
১৯৭০ সালের এই দিনে নয়াদিল্লিতে জন্ম নেন সাইফ আলী খান। তিনি শুধু বলিউড তারকা নন, ভারতের নবাবি ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারীও বটে। তার বাবা মঈনুল হক পতৌদি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি, আর মা শর্মিলা ঠাকুর ৬০–৭০ দশকের প্রখ্যাত অভিনেত্রী। শৈশব থেকেই তিনি পান এক বিশেষ আভিজাত্যের ছোঁয়া, তবে অভিনয়ের জগতে নিজের জায়গা করে নিতে তাকে পাড়ি দিতে হয় চ্যালেঞ্জের ভরা এক পথ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
সাইফের সিনেমা যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ‘পরম্পরা’ ছবির মাধ্যমে। প্রথমদিকে তিনি রোমান্টিক হিরো হিসেবে বেশি পরিচিতি পান ‘ইয়ে দিল্লাগি’, ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘কাল হো না হো’ এসব ছবিতে তার সহজ-সরল অভিনয় দর্শকের মন জয় করে।
-
কিন্তু শুধু প্রেমের নায়ক হয়ে থেমে থাকেননি তিনি। ‘ওমকারা’, ‘হাম তুম’, ‘লাভ আজ কাল’, ‘সেক্রেড গেমস’ এইসব প্রজেক্ট প্রমাণ করে, তিনি বহুমুখী চরিত্রে সমান স্বচ্ছন্দ।
-
তার ক্যারিয়ারে রয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়বার ফিল্মফেয়ার জয় এবং আন্তর্জাতিক প্রশংসা। বিশেষত ‘হাম তুম’ এর জন্য পাওয়া জাতীয় পুরস্কার তার অভিনয়জীবনের অন্যতম মাইলফলক।
-
সাইফ আলী খানের ব্যক্তিজীবনও কম আলোচিত নয়। প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে, সন্তান সারা ও ইব্রাহিম, বিচ্ছেদ সবই মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছে।
-
পরে ২০১২ সালে কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন তিনি। এখন তারা দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গীরের গর্বিত বাবা-মা।
-
ওটিটি যুগে সাইফের পুনর্জন্ম ঘটে ‘সেক্রেড গেমস’ সিরিজের মাধ্যমে। গনেশ গাইতন্ডের বিপরীতে সরতাজ সিং চরিত্রে তার অভিনয় সমালোচকদেরও চমকে দেয়।
-
বলিউডের অনেক তারকার মতো সাইফও বিতর্কে জড়িয়েছেন ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয়, শুটিং সেটে ঘটানো কিছু ঘটনা এবং ব্যক্তিগত মন্তব্য তাকে মাঝে মাঝে সমালোচনার মুখে ফেলেছে। তবুও ক্যারিশমা ও অভিনয়ের শক্তি দিয়ে তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন নিজের জায়গা।
-
তার অভিনয়, স্টাইল আর ব্যক্তিত্ব মিলে তিনি সত্যিই নবাবি আভিজাত্যের প্রতীক।