মঞ্চ থেকে পর্দায় আবেগের জাদুকর অনির্বাণ
বাংলা অভিনয়ের জগতে অনির্বাণ ভট্টাচার্য এক বিরল প্রতিভা। মঞ্চের আলোকঝলমলে পরিসর হোক কিংবা ক্যামেরার লেন্সবন্দি ফ্রেম, দু’জায়গাতেই তিনি দর্শকের মনে রেখে দেন অনির্বাণ ছাপ। সংলাপ উচ্চারণে স্বতন্ত্র ভঙ্গি, চরিত্রে গভীর ডুবে যাওয়ার ক্ষমতা আর আবেগকে নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার জন্য তাকে বলা হয় অভিনয়ের জাদুকর। জন্মদিনে তাই অনুরাগীরা আবারও স্মরণ করছেন সেই শিল্পীকে, যিনি শুধু অভিনয় করেন না, বরং চরিত্রের ভেতরে প্রাণ সঞ্চার করেন। ছবি: অভিনেতার ফেসবুক থেকে
-
কলকাতার থিয়েটার মঞ্চ থেকেই অনির্বাণের অভিনয়-যাত্রা শুরু। নাট্যদল অ্যাশর প্রোডাকশনস-এর হয়ে তিনি অভিনয় করেন নানা পরীক্ষাধর্মী নাটকে। মঞ্চে সংলাপের ভঙ্গি, শরীরী ভাষা আর আবেগের বিস্তার তাকে দ্রুত আলাদা করে তোলে।
-
‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোটপর্দায় আসেন অনির্বাণ। টেলিভিশনে জনপ্রিয়তা পেলেও তিনি সবসময় মঞ্চের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেছেন।
-
‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’, ‘বল্লভপুরের রূপকথা’, ‘বিবাহ অভিযান’, ‘মন্দার’সহ অসংখ্য ছবিতে তিনি অভিনয় করে প্রমাণ করেছেন-অনির্বাণ মানেই অভিনয়ে ভিন্নতা।
-
অভিনয়ের পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েও তিনি মুগ্ধ করেন দর্শককে। আবৃত্তি, গান কিংবা কবিতা পাঠ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে তার বিশেষ ছোঁয়া।
-
তরুণদের কাছে অনির্বাণ আজ এক অনুপ্রেরণা। মঞ্চ থেকে সিনেমা, দুই জায়গাতেই সমান দক্ষতায় কাজ করে তিনি প্রমাণ করেছেন প্রতিভার শক্তি থাকলে জনপ্রিয়তা কখনো দূরে থাকে না।
-
জন্মদিনে ভক্তরা তাকে ভরিয়ে দিচ্ছেন শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায়। অনির্বাণ ভট্টাচার্য এখন বাংলা বিনোদন জগতের এমন এক নাম, যিনি সমানভাবে মন জয় করেছেন শিল্পী, সমালোচক আর দর্শকের।