স্প্লিট থেকে প্রফেসর এক্স, বহুরূপে অনন্য জেমস
স্কটিশ অভিনেতা জেমস ম্যাকঅ্যাভয়ের জন্মদিন আজ। ১৯৭৯ সালের এই দিনে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জন্ম তার। তিনি বিশেষভাবে পরিচিত হয়েছেন ‘স্প্লিট’ ও ‘প্রফেসর এক্স’ এ অভিনয় করে। ছবি: সংগৃহীত
-
খুব অল্প বয়সেই তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, এরপর তিনি বড় হন দাদা-দাদীর কাছে। ছোটবেলায় জেমস ভাবতেন ধর্মযাজক হবেন। কিন্তু ভাগ্য তাকে টেনে নিয়ে যায় মঞ্চে, আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে পা রাখেন বড় পর্দায়।
-
লন্ডনের রয়্যাল স্কটিশ একাডেমি অব মিউজিক অ্যান্ড ড্রামা থেকে পড়াশোনা শেষ করে শুরু হয় তার অভিনয় যাত্রা।
-
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘শেমলেস’ ‘চিলড্রেন অফ ডিউন’ এবং ‘স্টেট অফ প্লে’ এর মতো টিভি সিরিজে অভিনয় করে নজর কাড়েন।
-
তবে বিশ্বদর্শকের সামনে আসা ‘দ্যা লাস্ট কিং অফ স্কটল্যান্ড’ (২০০৬) এর মাধ্যমে। এই ছবিতে উগান্ডার স্বৈরশাসক ইদি আমিনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করে প্রথমবারের মতো নিজের অবস্থান মজবুত করেন।
-
২০০৭ সালের ‘আটোনমেন্ট’ সিনেমায় সেসিলিয়ার প্রেমিক রবির চরিত্রে জেমস ছিলেন মায়াবী ও মর্মস্পর্শী। ছবিটির টানটান আবহে তার সংবেদনশীল অভিনয় চোখে জল এনে দেয় দর্শকের। তিনি চরিত্রকে শুধু ফুটিয়ে তোলেন না, বরং নিজের ভেতরে ধারণ করেন।
-
২০১৬ সালে ‘স্প্লিট’ ছবিতে কেভিন উইন্ডেলের চরিত্রে জেমস ছিলেন একাধিক ব্যক্তিত্বে আক্রান্ত এক যুবক। একজন নয় ২৩টি ভিন্ন পরিচয়! পর্দায় প্রতিটি আলাদা আলাদা সত্তা এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলেন যে দর্শক রীতিমতো বিস্মিত হয়ে পড়েন।
-
‘এক্স-ম্যান’ সিরিজের তরুণ প্রফেসর চার্লস জেভিয়ার চরিত্রে ম্যাকঅ্যাভয় ছিলেন প্রজ্ঞাময় ও কোমল হৃদয়ের শিক্ষক। অভিজ্ঞ অভিনেতার ‘প্রফেসর এক্স’ রূপকে ধরে রেখে তরুণ ভার্সনে নিজেকে তুলে ধরাটা সহজ ছিল না। কিন্তু জেমস সেটা করে দেখিয়েছেন নিপুণভাবে।
-
স্কটিশ এই অভিনেতা হলিউডে নিজের একটা আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন নীরব দক্ষতায়, চরিত্রের ভেতরে ডুবে গিয়ে।
-
এই যুগে যখন অনেক অভিনেতাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে চান আলোচিত চরিত্রে, তখন জেমস বেছে নিয়েছেন সেইসব জটিল, দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভরা মানুষগুলোকে; যাদের চোখে অনেক গল্প, কণ্ঠে কম কথা।
-
পর্দার বাইরে ম্যাকঅ্যাভয় বরাবরই ব্যক্তিগত। খুব বেশি আলোচনায় আসেন না, কিন্তু তার সমাজসেবামূলক কাজ, শিশুদের জন্য দান, কিংবা শিক্ষার জন্য সহায়তার বিষয়গুলো প্রমাণ করে দেন; তিনি শুধু পর্দার নয়, বাস্তব জীবনের নায়ক।