ভাঙা হৃদয়, গা ছমছমে চরিত্র আর জীবনের জোরালো গল্প বলে জেফরি
এক অদ্ভুত রহস্য, গভীর শূন্যতা এবং এক অদ্বিতীয় নায়কীয় উপস্থিতি লুকিয়ে রয়েছে যার মধ্যে তিনি হচ্ছেন জেফরি ডিন মর্গান। ‘দ্য ওয়াকিং ডেড’ সিরিজের নিগান চরিত্রটির জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। শুধু অভিনয়েই নয়, তার বাস্তব জীবনও ভীষণ চমকপ্রদ। ‘ভাঙা হৃদয়’, ‘গা ছমছমে চরিত্র’, আর ‘জোরালো গল্প’ একসঙ্গে কীভাবে তাকে এক অনন্য তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তা নিয়ে আজকের এই লেখা। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৬৬ সালের এই দিনে ওয়াশিংটনে জন্ম তার।
-
অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব সাধারণভাবে, তবে তার অভিনয়ের গভীরতা ছিল বরাবরই একেবারে ভিন্ন। শুরুর দিকে বেশকিছু ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও তার পুরো ক্যারিয়ারকে একটি অদ্ভুত টার্ন দিতে সাহায্য করেছে ‘নিগান’।
-
‘দ্য ওয়াকিং ডেড’ এর ‘নিগান’ চরিত্রে মর্গান এমন এক নেতিবাচক শক্তির প্রতীক হয়ে ওঠেন, যা কখনোও ভুলে যাওয়ার মতো নয়।
-
নিগান একধরনের অমানবিক চরিত্র। কিন্তু তার মাঝেও এক অদ্ভুত রকমের মানবিকতা থাকে। জেফরি একমাত্র অভিনেতা যিনি তার চরিত্রে এমন বৈশিষ্ট্যগুলো সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন।
-
‘নিগান’ ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেফরি।
-
‘প্রেশিয়াস’, ‘সুপারন্যাচুরাল’ এবং ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’-এর মতো চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। প্রতিটি চরিত্রেই তিনি এমনভাবে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছেন যে, দর্শকরা তার মধ্যে নিজের প্রতিফলন দেখতে শুরু করেছেন।
-
তার চরিত্রের মধ্যে রয়েছে মানবিকতা, অপরাধবোধ, ভালোবাসা।
-
জেফরি তার ক্যারিয়ারের প্রতিটি চরিত্রের মাঝে এক বিশেষ ধরনের গভীরতা ও মানবিকতা ঢেলে দিয়েছেন, যা তাকে সবার থেকে আলাদা করেছে।
-
জেফরি ব্যক্তিগত জীবনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ২০০৯ সালে তার স্ত্রীর মৃত্যু তাকে একা করে দেয়। এই দুঃখজনক ঘটনা তার জীবন ও ক্যারিয়ারের উপর এক গভীর ছাপ রেখে গেছে। সেই শোক ও হতাশার মাঝেও তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে জীবনকে নতুনভাবে দেখার শক্তি পেতে শুরু করেন।
-
জেফরি ক্যামেরার সামনে এক শক্তিশালী চরিত্র হলেও অফ-স্ক্রীনে তিনি একটি অত্যন্ত শান্ত, সদয় এবং বাস্তববাদী মানুষ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন পিতা এবং স্বামী। তিনি জানেন জীবনের বাস্তবতা ও মূল্য।
-
তিনি তার সহকর্মীদের সঙ্গে সবসময় ভালো সম্পর্ক রাখেন এবং কখনোই অহংকারের ছোঁয়া তার ব্যক্তিত্বে দেখা যায় না।