ক্যামেরার ফ্ল্যাশে উজ্জ্বল কিছু নাম, কিছু অনুভবের ছবি
লালগালিচা পেরিয়ে, আলোর ঝলকানির নিচে দাঁড়িয়ে আছেন তারা-যারা শুধু পুরস্কার জেতেন না, বরং সময়ের গল্প বলেন, ক্যামেরার পেছনে-সামনে নিঃশব্দে এক বিপ্লব ঘটান। এবারের কান উৎসবে এমনই কিছু নাম উঠে এলো, যাদের সৃষ্টির ছোঁয়ায় কান্না জড়ায়, কণ্ঠ নরম হয়ে আসে, আবার কখনো বুক ফুলে ওঠে গর্বে। ছবি: ফ্যাস্টিভেল দ্যা কান এর ফেসবুক পেইজ থেকে
-
এই বছরের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জিতে নিলেন জোয়াকিম ট্রিয়ার। ‘সেন্টিমেন্টাল ভ্যালিউ’ যেন নামেই বলে দেয়-এটা কোনো সিনেমা নয়, এটা আবেগের পরিমাপক। যেভাবে তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপড়েনকে পর্দায় তুলে ধরেছেন, তা দর্শকের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে। কখনো মায়ার মতো, কখনো বিষাদের ধোঁয়ার মতো।
-
প্রাক্তন-একু জুরি পুরস্কার: সৃজনশীল নির্মাণ আর বুদ্ধিদীপ্ত গল্প বলার এক নতুন সংজ্ঞা দিয়ে দিলেন অলিভার লাক্স। ‘স্যার প্রিক্সটি’ সিনেমায় অতীত ও ভবিষ্যতের ভেতর দোদুল্যমান এক আত্মার খোঁজ রয়েছে, যে প্রশ্ন তোলে আমরা আসলে কে? সমাজ আমাদের কীভাবে রূপ দেয়?
-
প্রাক্তন ইকো জুরি পুরস্কার: ‘সাউন্ড অফ ফলিং’ শব্দ, নীরবতা আর পতনের এক অভাবনীয় সংলাপ। মাসচা স্কিলিনস্কি যেন এই চলচ্চিত্রে শ্রুতির এক নতুন ভাষা গড়ে তুলেছেন। শব্দের জগতে যে দাগ পড়ে, তা কতটা দৃশ্যমান হতে পারে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি এই ছবিতে। দুর্দান্ত এই কাজের জন্য তিনিও পেয়েছেন প্রাক্তন ইকো জুরি পুরস্কার।
-
শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার: পরিচালনার নিখুঁত জাদুকরিত্ব দেখালেন ব্রাজিলিয়ান নির্মাতা ক্লেবার মেন্ডোনা ফিলহো। তার ‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট’ কেবল একটি থ্রিলার নয়, বরং এক গভীর রাজনৈতিক ভাষ্য। গোপনচরদের চোখ দিয়ে রাষ্ট্র, ক্ষমতা আর বিচারের এক নতুন পাঠ উপস্থাপন করেছেন তিনি।
-
বিশেষ পুরস্কার: চীনা নির্মাতা বিআই গান-এর ‘কুয়াং ইয়ে শি দাই’ এক ধ্বংসস্তূপ থেকে আশার জন্ম দেওয়ার গল্প। পুনর্নির্মাণের এই চলচ্চিত্রটা যেন শুধু ভবন নয়, মানুষের সম্পর্ক, আত্মবিশ্বাস এবং ইতিহাসকেও নতুন করে গড়ার ডাক দেয়।