অভিনয়ের গুরু, কণ্ঠের জাদুকর মরগানের জন্মদিন আজ
চোখে প্রজ্ঞার দীপ্তি, মুখে স্থিরতা, আর কণ্ঠে চুম্বকের মতো টান; মরগান ফ্রিম্যান যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম। যিনি পর্দায় আসেন, আর চরিত্রটি হয়ে ওঠে মাংস-মজ্জার মানুষ। আজ তার জন্মদিন। বয়স ৮৭ হলেও তিনি এখনো সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন অভিনয়ের জগতে। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
১৯৩৭ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরে তার জন্ম। অভিনেতার পুরো নাম মরগান পোর্টার ফিল্ড ফ্রিম্যান জুনিয়র। তার বাবা ছিলেন নাপিত, আর মা একজন স্কুল শিক্ষিকা। শৈশবে দারিদ্র্য ছিল তার নিত্যসঙ্গী। তবে প্রতিকূলতাই তাকে গড়ে তোলে এক অদম্য মানুষ হিসেবে।
-
ছোটবেলা থেকেই মঞ্চনাটকের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। ষাটের দশকে টেলিভিশনে ছোট চরিত্র দিয়ে শুরু হয় তার পেশাগত অভিনয়জীবন। তবে বড় পর্দায় স্বীকৃতি পেতে সময় লাগে।
-
১৯৮৭ সালে একটি চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথমবার দর্শকের নজরে আসেন। এরপর একে একে তার অসাধারণ সব চরিত্র দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে তোলে।
-
মরগান ফ্রিম্যানের অভিনীত কিছু বিখ্যাত সিনেমা হলো- ড্রাইভিং মিস ডেইজি (১৯৮৯), দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন (১৯৯৪), সেভেন (১৯৯৫), ব্রুস অ্যালমাইটি (২০০৩), মিলিয়ন ডলার বেবি (২০০৪), দ্য ডার্ক নাইট ট্রিলজি (২০০৫–২০১২) ইত্যাদি।
-
মরগান ফ্রিম্যানের কণ্ঠ যেন এক যাদুকরী উপহার। ধীর, গভীর ও আস্থাবান সেই কণ্ঠ বহু প্রামাণ্যচিত্র, চলচ্চিত্র ও বিশেষ অনুষ্ঠানে ব্যবহার হয়েছে ধারাভাষ্যকার হিসেবে। দর্শক তার কণ্ঠ শুনেই তাকে চিনে নেয়। সে কণ্ঠ যেন এক আত্মিক প্রশান্তি।
-
শুধু অভিনয় নয়, তিনি নির্মাণ ও প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বহু বছর।
-
বর্ণবৈষম্য, সামাজিক বৈষম্য ও মানবিক ইস্যুতে তিনি সবসময় সচেতন ও সরব। পর্দার বাইরেও তিনি একজন মানবিক মানুষ, যিনি বিশ্বাস করেন শিল্পের দায়িত্ব সমাজের প্রতিফলন তুলে ধরা।