স্টারডমের বাইরেও একজন সাধারণ মানুষ, মিলারকে জানুন ছবির ফ্রেমে
হলিউডে অনেক তারকাই এসেছেন, ছড়িয়েছেন আলো, আবার মিলিয়েও গেছেন ভিড়ে। কিন্তু কিছু মুখ থাকে, যাদের শুধু অভিনয় নয়, নির্লিপ্ত চাহনি, নিঃশব্দ প্রতিবাদ আর ভেতরের সাহসী কণ্ঠ আমাদের মনে গেঁথে থাকে দীর্ঘদিন। ওয়েন্টওয়ার্থ মিলার তেমনই এক ব্যতিক্রমী নাম। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
‘প্রিজন ব্রেক’ এর মাইকেল স্কোফিল্ড চরিত্রে তার মেধা ও সংযত আবেগ যেমন দর্শকের মন জয় করেছে, তেমনই বাস্তব জীবনে নিজের পরিচয়, মানসিক স্বাস্থ্য ও সমাজের ট্যাবু ভাঙতে গিয়ে দেখিয়েছেন এক গভীর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি।
-
আজ তার জন্মদিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডের চিপেনহ্যামে জন্ম তার। তবে বেড়ে উঠেছেন নিউইয়র্কে। তার পুরো নাম ওয়েন্টওয়ার্থ আর্ল মিলার তৃতীয়।
-
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য পড়েছেন তিনি। সেখানে নাটকের প্রতি তার প্রেম জেগে ওঠে। অভিনয়ের পেছনে তার শিল্পমানস ও শিক্ষা বরাবরই প্রভাব ফেলেছে।
-
২০০৫ সালে ‘প্রিজন ব্রেক’ সিরিজে মাইকেল স্কোফিল্ড চরিত্রে তার আবির্ভাব যেন টেলিভিশনের ইতিহাস বদলে দেয়। ভাইকে জেল থেকে বের করে আনার চমকপ্রদ ছক, ঠান্ডা মাথার গেমপ্ল্যান আর মানবিক আবেগ মিলে তৈরি হয় এক কালজয়ী চরিত্র।
-
ওয়েন্টওয়ার্থের অভিনয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার এক্সপ্রেশন; তীক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, সংলাপের বাইরে চোখেই যেন গল্প বলেন তিনি।
-
অনেকেই জানেন না, মিলার একজন স্ক্রিপ্টরাইটারও। তার লেখা চিত্রনাট্য ‘স্টকার’ (২০১৩) সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়। অভিনয়ের বাইরেও গল্প বলার তার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
-
২০১৩ সালে তিনি নিজেকে প্রকাশ্যে সমকামী বলে ঘোষণা দেন। হলিউডের মতো ইন্ডাস্ট্রিতে এমন সাহসী অবস্থান তাকে আরও আলাদা করে তোলে।
-
গ্ল্যামার-ভরা হলিউডে থাকলেও ওয়েন্টওয়ার্থ মিলার সবসময়ই নিজের মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্যামেরার বাইরে ব্যক্তিগত সময় কাটাতে ভালোবাসেন। গা-ঢাকা জীবনই যেন তার প্রিয়।