জন্মদিনে ফিরে দেখুন রাসেল ব্র্যান্ডের বর্ণাঢ্য ও বেপরোয়া জীবন
আজ ব্রিটিশ কমেডিয়ান, অভিনেতা, লেখক ও বক্তা রাসেল ব্র্যান্ডের জন্মদিন। হাস্যরসের চৌকস ব্যবহারে যেমন তিনি দর্শককে হাসাতে জানেন, তেমনি সমাজ, রাজনীতি ও আত্ম-অন্বেষণের গভীর আলোচনা তাকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এক সময় মাদকাসক্তির অন্ধকার গলি থেকে যিনি পা বাড়িয়েছেন আত্মজাগরণের আলোয়, সেই ব্র্যান্ডের জীবন আজও রহস্যে মোড়ানো, বিতর্কে ঘেরা, অথচ গভীরভাবে অনুপ্রেরণামূলক। ক্যারিয়ারের ঝলমলে মুহূর্ত, ব্যক্তিগত জীবনের উথান-পতন এবং সামাজিক-রাজনৈতিক প্রশ্নে স্পষ্ট অবস্থান সব মিলিয়ে রাসেল ব্র্যান্ড যেন এক চলমান বিপ্লবের নাম। জন্মদিনে চলুন ফিরে দেখা যাক তার এই রঙিন, উত্তাল ও চমকপ্রদ জীবনের কিছু অধ্যায়। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
-
১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের এসেক্সের গ্রেইস শহরে তার জন্ম। ব্র্যান্ডের বাবা রোনাল্ড হেনরি ব্র্যান্ড একজন ফটোগ্রাফার এবং মাতা বারবারা এলিজাবেথ ছিলেন। শৈশবে তার বাবা-মার বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি মায়ের সঙ্গে বড় হন। তিনি ইতালিয়া কন্টি একাডেমি অব থিয়েটার আর্টস এবং পরে ড্রামা সেন্টার লন্ডনে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন।
-
ব্র্যান্ড তার ক্যারিয়ার শুরু করেন স্ট্যান্ড-আপ কমেডি দিয়ে। ২০০৪ সালে তিনি বিগ ব্রাদার ইউকে এর স্পিন-অফ শো ‘বিগ ব্রাদারম বিগ মাউথ’ সঞ্চালনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর তিনি ‘ফরগেটিং সারা মার্শাল’, ‘গেট হিম টু দ্যা গ্রিক’, ‘আর্থ’ এবং ‘রক অফ এইজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে হলিউডে নিজের স্থান নিশ্চিত করেন।
-
ব্র্যান্ড তার অতীতের মাদকাসক্তি ও যৌন আসক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সোব্রিটি অর্জন করেন। তিনি ২০১০ সালে গায়িকা কেটি পেরিকে বিয়ে করেন, তবে ২০১২ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২০১৭ সালে তিনি লরা গ্যালাচারকে বিয়ে করেন এবং তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
-
২০২৩ সালে ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে, যা ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ঘটে বলে দাবি করা হয়। তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তার সমস্ত সম্পর্ক সম্মতির ভিত্তিতে ছিল।
-
২০২৫ সালের মে মাসে তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এই মামলার বিচার ২০২৬ সালের জুনে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।