আমলকির স্বাস্থ্য উপকারিতা
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভীষণ পরিচিত একটি ভেষজ ফল আমলকি। অদ্ভুত স্বাদের এই ফল শুধু খাবার হিসেবেই নয়, বরং একে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বহু বছর ধরে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফল, পাতা এমনকি বীজও নানা রোগ সারাতে কাজে আসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা থেকে শুরু করে দেহের ভেতর-বাহির সুস্থ রাখায় আমলকির জুড়ি নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকিতে ভিটামিন ‘সি’-এর পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। তাই এটিকে প্রাকৃতিক ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার বলা হয়ে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
হজমের সমস্যা দূর করে: আমলকি কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়ক। আমলকির রস বা আচার খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং পাইলসের সমস্যাতেও আরাম মেলে। শুকনো আমলকি পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার বা চাটনি খেলে পেটের গোলযোগ দ্রুত সেরে যায়।
-
ত্বক উজ্জ্বল করে: প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের দাগ কমে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ফলে ত্বক তরতাজা ও দীপ্তিময় থাকে।
-
চুলের যত্নে কার্যকর: আমলকি চুলের প্রাকৃতিক টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে, খুশকি দূর করে এবং অকালপক্ক চুল প্রতিরোধ করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি বাড়ে এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
-
দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যে উপকারী: আমলকি খেলে দাঁত মজবুত হয় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। এটি মুখের রুচি বাড়ায়, খাবারে আগ্রহ জাগায়। খাওয়ার আগে আমলকি গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে: আমলকি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মানসিক চাপ কমায় এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আরাম দেয়। কাশি, ব্রঙ্কাইটিস বা হাঁপানির রোগীদের জন্য আমলকি বেশ উপকারী।
-
ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে: আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। একইসঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।