বাংলাদেশে এইচএমপিভির হানা
কোভিডের পর চীনে এবার ছড়িয়ে পড়েছে নতুন দ্য হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন- ভারত, মালয়েশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। এবার বাংলাদেশেও ধরা পড়েছে এইচএমপি ভাইরাস। ছবি: সংগৃহীত
-
১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রহমান ভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, আক্রান্ত নারী ভৈরবের বাসিন্দা। তার বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
-
এইচএমপি হলো হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস। এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
-
এইচএমপি ভাইরাসের সঙ্গে অনেক মিল করোনার। উপসর্গও অনেকটা একই ধরনের। জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, পেট খারাপ হওয়া- মূলত এ ধরনের সমস্যাই দেখা যায়। তবে রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে তা গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।
-
শিশু ও বয়স্কদের মধ্যেই এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যাদের ইমিউনিটি কম, কিডনির সমস্যা আছে, অ্যাজমা অথবা সিওপিডি রোগী, ক্যানসারে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হতে পারে এইচএমপি ভাইরাস।
-
এইচএমপভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে আছে- কাশি ও হাঁচি থেকে নিঃসরণ, হাত মেলানো বা স্পর্শ করা, সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা ও তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা ইত্যাদি।
-
মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার মতো সাধারণ নিয়ম-কানুন একটু মেনে চলতে পারলেই এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।