রোমিও-জুলিয়েট নয়, শেক্সপিয়ার বুঝেছিলেন হৃদয়ের ভাষা
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, যে নামটি শুনলেই মনে আসে নাটক এবং কবিতার মহাকাব্যিক চরিত্রগুলো-রোমিও ও জুলিয়েট, হ্যামলেট, ম্যাকবেথ। কিন্তু তার সৃষ্টির মধ্যে যা সবচেয়ে শক্তিশালী, তা হল তার গভীরভাবে মানবিক উপলব্ধি। শেক্সপিয়ার জানতেন, প্রেম বা দ্বন্দ্ব শুধুমাত্র গল্প নয়, এগুলো মানুষের হৃদয়ের অনুভূতি, যা সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে যায়। তিনি শুধু প্রেমের গল্পই বলেননি, আমাদের শেখাতে চেয়েছেন হৃদয়ের ভাষা আসলে কী? তার নাটকগুলো শুধু গল্প বলে না, বরং প্রতিটি মানুষের একান্ত অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করে। ছবি: সংগৃহীত
-
শেক্সপিয়ার ছিলেন একজন মানবিক অনুভূতির মাস্টার। তার লেখায় প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে এমন এক মানসিকতা কাজ করতো, যা আমাদের নিজেদের অন্তরের অজানা অনুভূতিগুলোকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করত।
-
তার নাটক এবং কবিতায় মানুষের দ্বন্দ্ব, প্রেম, হতাশা, আশা এবং অস্থিরতা সব কিছুই এমনভাবে ফুটে উঠেছে, যেন সে যুগের পাঠকরা অনুভব করতে পারতেন, এটি তাদের নিজেদের গল্প।
-
মানবিক অনুভূতির মাস্টার শেক্সপিয়ারের জন্মদিন আজ। ১৫৬৪ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডের স্ট্র্যাটফোর্ড-আপন-অ্যাভন শহরে জন্ম তার।
-
অনেকের মতে, ১৬১৬ সালের একই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। তাই এই দিনটি শেক্সপিয়ারের ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
-
তার চরিত্রগুলো কখনো হ্যামলেটের দুঃখ বা অথেলোর দাম্পত্য সংকট যেমন এক দুর্বল হৃদয়ের কাহিনী হয়ে ওঠে; তেমনি ম্যাকবেথের দ্বন্দ্ব বা লেডি ম্যাকবেথের আত্মবিশ্বাসী সাহস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, মনুষ্যত্বের অন্ধকার দিকের সঙ্গেও আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
-
শেক্সপিয়ারের লেখা ‘টু বি অর নট টু বি’ বা ‘হোয়াটস্ ইন এ নেইম?’ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানুষের মন সব কিছুর চেয়ে শক্তিশালী এবং আন্তরিক অনুভূতির মূল্যই সবচেয়ে বেশি।