‘কাঁচা সোনায়’ বদলে যাচ্ছে হাওরের কৃষকের জীবন
কিশোরগঞ্জে হাওরের চরাঞ্চল এখন সোনালি রঙে ভরপুর। কয়েক বছর ধরে ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন হাওরের কৃষকরা। ছবি: এসকে রাসেল
-
ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। বন্যা কিংবা খরার ভয় নেই। এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে।
-
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সোনালি ফসল ভুট্টা।
-
হাওরে আদিকাল থেকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন কৃষকেরা। কিন্তু অনুকূল পরিবেশ না পেলে খুব একটা লাভের মুখ দেখা যেতো না। তবে যখন দেশের পোল্ট্রি ও ফিড মিল খাতে ভুট্টার চাহিদা বাড়ে; তখন তাদের চোখে জ্বলে ওঠে নতুন সম্ভাবনার আলো। তারা ধান ছেড়ে আগলে ধরেন ভুট্টা চাষকে।
-
হাওরে আদিকাল থেকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন কৃষকেরা। কিন্তু অনুকূল পরিবেশ না পেলে খুব একটা লাভের মুখ দেখা যেতো না। তবে যখন দেশের পোল্ট্রি ও ফিড মিল খাতে ভুট্টার চাহিদা বাড়ে; তখন তাদের চোখে জ্বলে ওঠে নতুন সম্ভাবনার আলো। তারা ধান ছেড়ে আগলে ধরেন ভুট্টা চাষকে।
-
এ বছর কিশোরগঞ্জে ১২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদন ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১২ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে হয়েছে আবাদ।
-
সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে চার উপজেলায়।
-
জেলার নিকলী উপজেলায় ৩ হাজার ১১০ হেক্টর, মিঠামইনে ২ হাজার ৮৮০ হেক্টর, বাজিতপুরে ২ হাজার ১০ হেক্টর ও অষ্টগ্রামে ৯৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। হয়েছে বাম্পার ফলন। ফলে আশা জেগেছে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার।
-
মাঠ থেকে মনপ্রতি ভুট্টা ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায় কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা।
-
মাঠ থেকে মনপ্রতি ভুট্টা ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায় কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা।
-
ভুট্টা চাষে রবিশস্য নিয়ে হাওরের কৃষকদের কপালের চিন্তার ভাঁজ অনেকটাই দূর হয়েছে। উঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনার নতুন ভোর।
-
তবে বাজারজাত করতে কৃষকের স্বার্থ নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা। তাহলেই প্রকৃতপক্ষে কৃষকদের কাছে ভুট্টা হয়ে উঠবে জীবন্ত স্বপ্ন।
-
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাদিকুর রহমান বলেন, হাওরের নিরাপদ ফসল হিসেবেই ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। এছাড়া ভুট্টার ভালো দাম ও চাহিদার কারণে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে জনপ্রিয় হচ্ছে।