বৃষ্টির ফোঁটায় শীতল ছোঁয়া, আবারও ভেজা পায়ে অফিসযাত্রা
ভোর হতেই আকাশ ছিল ঘন মেঘে ঢাকা। চারদিক ধূসর, রোদ নেই, বাতাসে ছিল ঠান্ডা ছোঁয়া। এরপর একটানা ঝুম বৃষ্টি। গরমে ক্লান্ত শহরের জন্য এটি ছিল একটুখানি শান্তির পরশ। কিন্তু সেই শান্তিই পাল্টে গেল যখন ঘড়ির কাঁটা অফিসে ছুটে চলার তাগিদ দিল। ছবি: জান্নাত শ্রাবণী
-
কেউ জানালার ধারে দাঁড়িয়ে পেয়েছে একফোঁটা স্বস্তি, আবার কেউ রেইনকোটের নিচে ভিজে গেছে মাথা থেকে পা পর্যন্ত।
-
ছাতা থাকলেও পা ভিজল, প্যান্টের ছাঁট নেমে এলো কাদার দাগে।
-
ঢাকার রাস্তা যেন মুহূর্তেই রূপ নিলো ছোটখাটো যুদ্ধক্ষেত্রে; একপাশে স্বস্তির আবেশ, অন্যপাশে প্রতিদিনের ভেজা সংগ্রাম।
-
ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করা নগরবাসীর জন্য এই বৃষ্টি যেন স্বর্গীয় আশীর্বাদ।
-
ভোরের পর শহরের রাস্তা, গাছপালা, ঘরবাড়ি সব যেন ধুয়ে গেল বৃষ্টির জলে।তবে বৃষ্টির এই সৌন্দর্যের ভিন্ন এক রূপও ছিল। যারা রাস্তায় বের হয়েছেন অফিসগামী, স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী, পণ্যবাহী শ্রমিক কিংবা রিকশাচালক তাদের সবার চোখে-মুখে ছিল দুর্ভোগের ছাপ।
-
নতুন দিনের শুরুতে এমন বৃষ্টি ঢাকার গতি যেন একটু থামিয়ে দেয়।
-
ভোরের নির্জনতা ভেঙে যখন শহর জেগে উঠছে, তখন একফোঁটা বৃষ্টিই যেন ছন্দে লাগায় বাধা। মোড়ে মোড়ে জ্যাম, রাস্তায় কাদা, আর রিকশা বা সিএনজির অতিরিক্ত ভাড়া, সব মিলিয়ে স্বস্তির পাশাপাশি জমে ওঠে এক টুকরো হতাশা।