রোদ থেকে বৃষ্টি, মুহূর্তেই বদলে গেল ঢাকার চিত্র
দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ঢাকার আকাশে তখনও রোদের ঝলক, ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিরা ব্যস্ত বিক্রিতে, রাস্তায় চলমান মানুষগুলো ঘামে ভেজা মুখে এগিয়ে যাচ্ছেন যার যার গন্তব্যের দিকে। সবকিছুই ছিল চিরচেনা গতিতে, যেন নিখুঁত এক রুটিন। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যায় দৃশ্যপট।নির্বিকার আকাশ মুহূর্তেই ঢেকে যায় ঘন কালো মেঘে। সূর্যের আলো ম্লান হয়ে আসে এক অজানা ইঙ্গিতে। চোখের পলকেই নামতে শুরু করে বৃষ্টি; প্রথমে টুপটাপ, তারপর এক ঝুম বৃষ্টি। লেখা: জান্নাত শ্রাবণী; ছবি: মাহবুব আলম
-
ছাতা ছাড়াই বের হওয়া মানুষগুলো ছুটতে থাকেন আশ্রয়ের খোঁজে; কেউ দোকানের শেডে, কেউ গাছের নিচে, কেউ আবার পলিথিন বা ব্যাগ মাথায় দিয়ে সাময়িক রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
-
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের দোকানিরা।
-
যারা প্লাস্টিকের শীট কিংবা ছাউনি ছাড়া খোলা জায়গায় বসে ছিলেন, তারা হঠাৎ করেই শুরু করেন বেচাবিক্রির বদলে বাঁচানোর সংগ্রাম।
-
চোখের সামনে ঝাপসা দৃষ্টির কারণে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে, অনেকেই গতি কমিয়ে চলতে থাকেন। কিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে পাশে, যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দিতে। কিছু রিকশা মাঝপথে থেমে যায়, চালক নিজেই প্লাস্টিক দিয়ে নিজেকে ও যাত্রীকে ঢাকার চেষ্টা করেন।
-
কেউ বৃষ্টি উপভোগ করেছেন প্রাণ ভরে, কেউ ভিডিও করেছেন মোবাইলে, কেউ আবার দীর্ঘদিন পর এই সময়টুকুকে ‘বেঁচে থাকা’র মতো অনুভব করেছেন।
-
ভিজেই বাড়ি ফিরছেন শিক্ষার্থীরা।
-
প্রকৃতির এই অনিয়ন্ত্রিত রূপ আমাদের দেখিয়ে দেয় শহরের জীবন যতই যান্ত্রিক হোক না কেন, একটি বৃষ্টি সেই গতিকে থামিয়ে দিতে পারে সহজেই। রোদ থেকে বৃষ্টি, মুহূর্তেই বদলে যায় না শুধু আবহাওয়া, বদলে যায় দৃশ্যপট, বদলে যায় মানুষজনের ব্যস্ত মুখের অভিব্যক্তি।