বৃষ্টির দিনে ফুটপাত যেন যুদ্ধের ময়দান
হালকা থেকে মাঝারি ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ছুঁয়ে যাচ্ছে পুরো শহর। অনেকে হয়তো এই আবহাওয়ায় এক কাপ চায়ের আনন্দ খুঁজে পান, তবে শহরের এক বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে এই বৃষ্টি মানেই যুদ্ধ। ফুটপাতের প্রতিটি ইঞ্চিতে লুকিয়ে থাকে টিকে থাকার লড়াই। রামপুরা, মালিবাগ, পল্টন-এসব এলাকায় ছাতার নিচে মাথা ঢেকে বা প্লাস্টিক দিয়ে পণ্য বাঁচিয়ে কোনোভাবে দিনটাকে কাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শত শত শ্রমজীবী ও পথদোকানি। তাদের কাছে আজকের দিনটা শুধু ভেজা নয়, ভীষণ কঠিন একটা বাস্তব যুদ্ধের মতো। ছবি: মাহবুব আলম
-
সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি চলছে। এই অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে যেন থমকে গেছে শহরের ছন্দ।
-
ঢাকার ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ফুটপাত ও বাজার সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে ছাতা খুলে কিংবা স্নান বৃষ্টি ভেজা মানুষের ভিড়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ ও ফুটপাতের দোকানিরা।
-
ঢাকার রামপুরা, মালিবাগ ও পল্টনের রাস্তায় শ্রমজীবী মানুষরা সকাল থেকেই বৃষ্টির ঝামেলা সামলাতে গিয়ে বিক্ষিপ্ত ও ব্যস্ত দেখা যায়।
-
দিনমজুর, রিকশাচালক, গার্মেন্টসের অস্থায়ী শ্রমিকরা যারা প্রতিদিন সকালে বের হয় জীবিকা অর্জনের তাগিদে, তারা এই বৃষ্টির কারণে অনেকটাই ব্যর্থ। আজকের দিনটা তাদের জন্য খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। কারণ ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে কাজ খুঁজতে গেলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়।
-
আর ফুটপাতের দোকানিরাও বৃষ্টির পানিতে নাজেহাল। মালিবাগ, পল্টন এলাকায় ফুটপাতের ছোট ছোট দোকানগুলোকে দেখতে পাওয়া গেছে পানি জমে বিপাকে পড়েছে। কিছু দোকানি বাধ্য হয়ে তাদের পণ্য ও মালামাল বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য ছাতা বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন।
-
ঢাকার এই ধরনের বৃষ্টিপাত শুধু শহরের চলাচলকে ব্যাহত করেই না, পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। কারণ তাদের জন্য প্রতিদিনের আয়-রোজগারই বড় সংগ্রাম। আজকের বৃষ্টিতে যেমন রাস্তা ভিজে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, তেমনি বিক্রি না হওয়া পণ্য হাতেই রেখে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।
-
শ্রমজীবী ও ফুটপাতের দোকানিরা বলেন, বৃষ্টি হলে আমাদের কাজ অনেক কমে যায়। আজকের মতো বৃষ্টিতে হাঁটাহাঁটি করাটাও খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে। অনেক সময় আয়ের মতো কাজই পাওয়া যায় না।
-
বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় ট্রাফিক সামলাচ্ছেন এক পুলিশ সদস্য।
-
বৃষ্টির মধ্যেই সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন এক মা।