প্রাণপণ লড়াই করেও যে কারণে জিততে পারল না বাংলাদেশ
সাকিব যখন আউট হলেন, প্রায় সকলেই ধরে নিয়েছিলেন ভারত ম্যাচ জিতেই গিয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়েননি সাইফুদ্দিনরা। শেষ রক্ষা না হলেও তাদের মরিয়া লড়াই মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু ঠিক কোথায় পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ দেখে নেওয়া যাক টাইগারদের হারের কারণ।
-
টস ভাগ্য বাংলাদেশের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। স্লো পিচে টস জিতলে ব্যাটিং নিশ্চয়ই করতেন মাশরফি। তাতে রান তাড়া করতে মুশকিলে পড়তই ভারত।
-
রোহিতের ক্যাচ ফস্কানোর বিরাট মূল্য দিতে হল বাংলাদেশকে। ৯ রানে জীবন ফিরে পাওয়া রোহিত করলেন ১০৪।
-
মোর্তাজা এবং সাইফুদ্দিন বল হাতে তেমন বেগ দিতে পারেননি রোহিত-রাহুলকে। শুরুতে মুস্তাফিজুরকে আনলে হয়ত এই সমস্যা হত না।
-
শাকিব আর মোস্তাফিজুর ছাড়া কেউ ভালো বল করতেই পারলেন না। এই পিচে কী ভাবে বল করা উচিত তা দেখিয়ে দিলেন দুই চ্যাম্পিয়ন।
-
মেহদিকে না নিয়ে কি ভুল করে ফেললেন নির্বাচকরা? শাকিবের স্পিনে হাঁসফাঁস করা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মিরাজের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত হতেন না কি?
-
মাহমুদ উল্লার চোট বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল। মোসাদ্দেকের বদলে মাহমুদুল্লা থাকলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।
-
বড় রান তাড়া করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নেয় পার্টনারশিপ। বাংলাদেশ সেই বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারল না। সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ হল সাব্বির-সাইফুদ্দিনের ৬৬ রানের।
-
মাশরফির ব্যাট হাতে আরেকটু পরিণত ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল। সাইফুদ্দিন যেখানে এত ভালো খেলছিলেন, সেখানে তাকে স্ট্রাইক না দিয়ে ঠিক করেননি বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। তিনি তো জানতেন তার পর ব্যাট করতে আসবেন রুবেল আর মোস্তাফিজুর।
-
রুবেল তো জানতেন বিপরীতে রয়েছেন সাইফুদ্দিন। বুমরা যে ইয়র্কার করতে পারেন তা সবাই জানেন। রুবেল একটু সতর্ক হলে সাইফুদ্দিন পরের ওভারে পেতেন শামিকে। হয়ত বদলে যেত ম্যাচের রং।
-
একই কথা প্রযোজ্য মোস্তাফিজুরের ক্ষেত্রেও। বিশ্বের এক নম্বর বোলার যে তাকে ইয়র্কার দেবেন, সেটা প্রায় সবাই জানতেন। বুঝলেন না শুধু বল হাতে ভারতকে পিষে ফেলা ফিজ।