সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছেন ক্রিস গেইলের স্ত্রী

আইপিএলের যাত্রা অত্যন্ত খারাপ ভাবে শুরু করেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব পয়েন্টটেবিলের সব থেকে নীচে প্রীতি জিনতার দল। প্লে অফ থেকে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লাগাতার ৫ হারের পরে জয়ের পথে ফিরে হ্যাট্রিক করেছেন। পাঞ্জাবের এই জয়ে লাকি চার্ম হিসাবে ক্রিস গেইলকে মনে করা হচ্ছে। প্লেইং ইলেভেনে ক্রিস গেইলের প্রবেশের পরে জয়ের পথে ফিরেছে দল। ক্রিস গেইল ক্রিকেট যেমন বিখ্যাত তেমনই তাঁর স্ত্রী নতাশা বেরিজ তার স্ত্রীর লাকি চার্ম।

নাতাশার সঙ্গে ক্রিস গেইল ২০১৬ সালে বিয়ে করেছেন। ক্রিস ও নাতাশা দীর্ঘ দিন ধরে রিলেশনশিপে ছিলেন। ২০১৬ সালেই ক্রিস-নতাশার মেয়ের জন্ম হয়। আইপিএলের বহু ম্যাচে ক্রিস গেইলের মনোবল বাড়াতে মাঠে দেখতে পাওয়া যেত নাতাশাকে।

যখন নতাশা তার মেয়েকে জন্ম দিয়েছেন সেই সময়ে ক্রিস গেইল আইপিএল খেলেছিলেন। তখন তিনি আরসিবিতে খেলতেন। মেয়ের জন্মের সময় আইপিএল ছেড়ে গিয়েছিলেন। গেইল ও তার স্ত্রী নতাাশা মেয়েকে ব্লশ বলে সম্বোধন করেন।

নাতাশা একজন ফ্যাশান ডিজাইনার অল্ট্রা নামের এক সংস্থার মালকিনও তিনি। নতাশা তার এই সংস্থার কার্নিভালের জন্য কস্টিউম প্রস্তুত করেন। তিনি এই ব্র্যান্ড তার বন্ধুর সঙ্গে পরিচালনা করেন।

নাতাশা বেরিজের ইনস্টাগ্রামের ছবি দেখে বুঝতে পারা যায় যে তিনি কতখানি স্টাইলিশ। নাতাশার কস্টিউমের প্রমোশনের বেশ কিছু বড় সংস্থা প্রমোট করে। মধ্যেই কার্নিভালের ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসে নতাশা বেরিজ আল্ট্রা কার্নিভালের ফাউন্ডার। গেইলের সঙ্গে তিনি অংশগ্রহণ করেন। নাতাশা ও ক্রিস গেইলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মাঝে মধ্যেই কার্নিভালের ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

ক্রিস গেইলের পরিবার কিংস্টনের জামাইকায় থাকে। ক্রিসের বাবা একজন পুলিশে কর্মী ছিলেন। ক্রিস গেইলেরা ছয় ভাই বোন। নাতাশাও জামাইকার বাসিন্দা ৩১ অগাস্ট ১৯৮৬ সালে জন্ম হয়েছিল। নাতাশা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। নতাশার পরিবারের লোকের ভালবেসে তাকে তাশা বলে ডাকেন।

ক্রিস গেইল আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১২৮ ম্যাচে ৪০.৯৮ গড়ে ৪৫৯০ রান করেন। আইপিএলে সব থেকে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ক্রিস গেইল ৩৩৫টি ছক্কা মেরেছেন।