ইসলামী আন্দোলন পিআর পদ্ধতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ১২ আগস্ট ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ/ছবি-সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার প্রধান ক্ষেত্র হলো নির্বাচন। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত, হানাহানি ও সহিংসতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। শতশত মানুষ এই রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারায়।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলাম। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশা করেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি আদতে কোনো উন্নতি হয়নি। বরং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও খারাপ হয়েছে। বিগত এক বছরের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের তথ্য তাই বলে।

সোমবার (১১ আগস্ট) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ ধাপের প্রার্থী বাছাই আয়োজন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল দায়িত্বশীলদের থেকে যেসব সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম এসেছে তাদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আসনের সম্ভাবনা, সংকট ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে একজনকে নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে আরও দুই দফা সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা তৃতীয় দফা সাক্ষাৎকার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনশত আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। একই সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে উভয়কক্ষে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সুস্থির ও সাবলীল করতে উভয়কক্ষে আমরাসহ দেশের অনেক রাজনৈতিক সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোনো আলোচনার এজেন্ডাই রাখে নাই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার সাম্প্রতিক নজির দেখা গেছে গাজীপুরে।

চাঁদাবাজির সংবাদ করায় প্রকাশ্য কুপিয়ে ও জবাই করে সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের সময়ে সাংবাদিকরা যে অন্যায়, ভোটচুরি ও ভোট ডাকাতির তথ্য তুলে ধরবে তার সাহস কোথা থেকে পাবে সাংবাদিকরা? আমরা মনে করছি, আসন্ন নির্বাচনে সাংবাদিক বা অন্যকেউ ভোট সংক্রান্ত অন্যায়ের তথ্য প্রকাশে ভয় তৈরি করতেই এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে এবারের নির্বাচনও আগের মতোই কলঙ্কিত হবে। সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না, ফলত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও তৈরি হচ্ছে না।

এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।