হাদির বড় ভাই

রাজপথে নামলে আমাকেও হত্যা করা হবে, এই ভয় কাজ করে মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে শরিফ ওমর বিন হাদি

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই শরিফ ওমর বিন হাদি বলেছেন, আমি যদি আবার আমার ভাইয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে নামি, আমাকেও হত্যা করা হবে; এই ভয় আমার মায়ের মধ্যে কাজ করছে। মা ইতোমধ্যে এক সন্তান হাদীকে হারিয়েছেন, আরেকটাকেও হারানোর আশঙ্কায় ভীত।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শরিফ ওমর বিন হাদি বলেন, শহীদ ওসমান হাদি শাহবাগে রাজপথে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিতেন। এ কারণে পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হতো। হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে কাফনের ছবি পাঠানো হতো। শুরুতে এসব বিষয় পরিবারকে জানালেও পরে ওসমান আর শেয়ার করতেন না, যাতে পরিবারের ভয় না বাড়ে।

নিজের পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১২ সালে বাবার মৃত্যুর পর আমরা দুই ভাই একই এলাকায় বসবাস করতাম। জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে ব্যক্তিগত ব্যবসা ছেড়ে ওসমানের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম আমি। ওসমান আমাকে বলতেন, যদি তিনি শহীদ হন তবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং আড়ালে থাকতে হবে।

শরিফ ওমর বিন হাদি আরও বলেন, আমি কখনো সামনে আসতে চাইনি। কিন্তু আজ আমার ভাই শহীদ হওয়ায় বিচারের দাবিতে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। সবাইকে ওসমান হাদির আদর্শ সারাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই।

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় তিনি বলেন, ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে থেকেই খুনি পরিকল্পিতভাবে তাদের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। একাধিকবার হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওসমানকে গুলি করা হয়। পরবর্তী শুক্রবার রাতে তিনি সিঙ্গাপুরে শহীদ হন।

ওমর বিন হাদি বলেন, যদি আল্লামা সাঈদীর সাক্ষীকে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায় আর ওসমানের খুনি ছয় ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে পারে, তাহলে এই দেশের সার্বভৌমত্ব কোথায়?

আরএএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।