করোনা নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন রাজনৈতিক: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২০
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সুশাসন বিষয়ক প্রতিবেদনটি যতটা গবেষণাধর্মী তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনায় করণীয় বিষয়ক গবেষণার সুপারিশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বলা হয়েছে এবং আরও একধাপ এগিয়ে হয়রানিমূলক সকল মামলা তুলে নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তীব্র নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষকরা টিআইবির এই প্রতিবেদনকে গবেষণা না বলে রাজনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তার আগেই নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কোনো সংস্থা কিংবা কোনো দলের দাবি বা সুপারিশের প্রেক্ষিতে নয়, সরকার নিজ উদ্যোগেই সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথায় সুনির্দিষ্ট দুর্নীতি হয়েছে, কোথায় ঘুষ নেয়া হয়েছে প্রণোদনা থেকে, তার টিআইবি তালিকা দিলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সরকার এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি বিশ্বে এক নতুন অভিজ্ঞতা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আশঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো আছে বাংলাদেশ। শীতকালে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি চলছে।

আন্তর্জাতিক মহল যখন করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করছে তখন সরকারের ন্যূনতম একটি ভালো উদ্যোগও টিআইবির গবেষক দলের চোখে পড়েনি, যা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এ গবেষণার উদ্দেশ্য এবং বিধেয় নিয়ে জনমনে অবিশ্বাস এবং প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। জনগণ মনে করে, এ গবেষণা সমাজ গবেষণার সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় নয়, এটি রাজনৈতিক কিংবা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যত অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আওয়ামী লীগ তার শক্তিশালী ও সাহসী ভূমিকা নিয়ে অধিকার হরণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। রাজপথের আন্দোলনে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে অকুতোভয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা, দেশের প্রয়োজনে আত্মদান দলের নেতাকর্মীদের শিখিয়ে দিতে হয় না।

এইউএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।