এভারকেয়ার হাসপাতালে কাটল খালেদা জিয়ার এক মাস
চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে এক মাস পার করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
এরই মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তা থমকে গেছে।
গত ১১ এপ্রিল করোনা ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট আসে খালেদা জিয়ার। ১৫ এপ্রিল তার সিটি স্ক্যান করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
২৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ৩ মে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। পরে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে ৫ মে সরকারের কাছে আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। তবে সরকার সে আবেদন নাকচ করে দেয়।
এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে খালেদা জিয়ার করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। এরপর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এদিকে ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে সিসিইউ’র বাইরে রেখে চিকিৎসা দেয়াটা এখনও নিরাপদ মনে করছেন না চিকিৎসকরা। তাই আরও কিছুদিন তাকে সিসিইউতে থাকতে হবে। এরপর শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। তারা সাবধানতার সঙ্গে তার শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এখনই এ বিষয়ে অনুমান করার কোনও সুযোগ নেই।’
অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগেও আপনাদের যা বলেছি, এখনও তিনি সে অবস্থাতেই আছেন। কিছুদিন ধরে তিনি বেটার আছেন। ফুসফুসের পানি বের করতে যে পাইপ লাগানো হয়েছিল, সে পাইপগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ভালোই আছেন তিনি।’
কেএইচ/এমএইচআর/এমএস