অশালীন কথাবার্তা পারস্পরিক সম্প্রীতির অন্তরায়


প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অশ্লীল কথাবার্তা চারিত্রিক খারাপ গুণের অন্তর্ভূক্ত। হাসি-ঠাট্টার ছলে, কাম-প্রবৃত্তি তাড়িত হয়ে মানুষ অশালিন কথাবার্তা বলে। আবার কেউ কেউ ক্রোধের বশীভূত হয়েও অশ্লীল কথাবার্তা ও বাক্য বিনিময় করে। যা কোনো অবস্থাতেই বৈধ নয়। অশালিন কথাবার্তা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হলো-

ক. বিশ্বনবী বলেন, ‘মুমিনকে গালি দেয়া ফিসক এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি। (বুখারি)

খ. তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি কারো প্রতি ভৎসনা ও লানত করে না এবং সে কোনো অশালীন এবং অশ্লীল কথাও বলে  না। (তিরমিজি)

গ. হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গালিগালাজকারী, অশালীনভাষী এবং অভিসম্পাতকারী ছিলেন না। আমাদের কারো উপর তিনি নারাজ হলে কেবল এটুকু বলতেন যে, ‘তার কি হলো! তার কপাল ধূলিময় হোক।’ (বুখারি)

ইসলামি শরিয়াতে গালিগালাজ, অশালীন ও অশ্লীল কথাবার্তা নিষিদ্ধ হওয়ার মূল কারণ হলো- গালিগালজের সময় সীমা লংঘন হয়, এক আরেক জনের বাবাকে গালি দিলে। উত্তরে সে অন্য জনের বাবাকে গালাগাল দেয়ার পাশাপাশি বংশের অন্য সবাইকেও গালাগাল দেয়। এর থেকে রাগের সৃষ্টি হয়, সমাজের পারস্পরিক সম্প্রীতির বন্ধন তিক্ত হয়, অহংবোধের সৃষ্টি হয়, নম্রতা-ভদ্রতার সীমা লংঘন হয়।

তাইতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার কথা ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। (বুখারি)

সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।