মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো শক্তিই এ দেশে টিকবে না
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সড়ক পরিবরহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও বিষোদগার করা হোক না কেন, বাংলাদেশের মাটিতে এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বেগম জিয়া শুধু নয়, কোনো শক্তিই টিকবে না।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর আসাদগেটের সামনে ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তানের সাথে প্রত্যক্ষ যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। ৪৫ বছর আজ বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে সকল সূচকে এগিয়ে রয়েছে। পাকিস্তানের এমন কোনো শহর নেই যে শহর লোডশেডিং কবলিত নয়। এমনকি করাচি শহরেও এখন ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং থাকে। আমরা আর্থসামাজিক থেকে সকল সূচকে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছি। শুধু পরমাণু বোমার সূচকে তাদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছি। কিন্তু আমরা এই ধ্বংসের বোমা পরমাণু বোমা চাই না। এটাই শুধু তাদের কাছে আছে। এটা ছাড়া আমরা পাকিস্তানের চেয়ে সকল উন্নয়ন অর্জনের সূচকে এগিয়ে আছি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর সেরা দশ জন রাষ্ট্রনায়কের একজন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের কোনো নেতাই এখন শেখ হাসিনার ধারে-কাছেও নেই। আজকে তিনি সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত করেছেন।’
পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিতে কিছু স্টেজ (ধাপ) আছে। কূটনৈতিক হিসাব-নিকেশ আলাদা। তাই তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর্যায়টি এখনো আসে নাই। পর্যায় যখন আসবে তখন সেটা করা হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আজকে গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে মানুষ দাঁড়িয়েছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসর খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের প্রতিবাদে। তিনি একের পর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন- জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, হুইপ ইকবালুর রহিম, শাহাবুদ্দিন, মাহবুব আরা গিনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, রুহুল কুদ্দুস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক খান, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।
এইচএস/এনএফ/আরআইপি